সৌন্দর্য কোনও রঙের গন্ডিতে আবদ্ধ নয়। 'ডার্ক ইজ বিউটিফুল টু'- এই আদর্শেই বিশ্বাসী শাহরুখ কন্যা সুহানা খান। তাই বহুজাতিক সংস্থা হিন্দুস্থান ইউনিলিভারের ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি থেকে ফেয়ার শব্দ বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন সুহানা।
বৃহস্পতিবারই হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের তরফে জারি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কোম্পানির স্কিনকেয়ার পোর্টফোলিও বা ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত প্রসাধন পণ্য সব স্কিন টোনের জন্য এবং সৌন্দর্যের প্রতিটি বৈচিত্রই অনন্য। এরই ধারাবাহিকতায় কোম্পানির ফ্ল্যাগশিপ ব্র্যান্ড ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’র নাম পরিবর্তন করতে যাচ্ছে। ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি থেকে ফেয়ার শব্দটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন নাম অনুমোদনের জন্য গিয়েছে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হলেই নতুন নামে ও নতুন রূপে সামনে আসবে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এই খবর সম্পর্কে ফলোয়ারদের অবগত করান সুহানা। উল্লেখ করেন, এই স্কিন কেয়ার ক্রিমের প্রচারের ক্ষেত্রে সাফল্যের সঙ্গে গায়ের রঙ কোনওভাবে যুক্ত সেই বিষয়টি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার।
শাহরুখ খান ২০১৮ সালে এক সাক্ষাত্কারে সুহানাকে শ্যামলা বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে আমার মেয়ে শ্যামলা কিন্তু আমার চোখে ওই এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী কন্যা। আমাকে এই নিয়ে কেউ অন্যকিছু বললেও আমি মানব না’।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মীর হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার পর থেকে গোটা বিশ্বে বর্ণবিদ্বেষবিরোধী আন্দোলন জোরালো হয়েছে। আর সেই আন্দোলনের আঁচ থেকে রক্ষা পায়নি দেশ-বিদেশের ফেয়ারনেস ক্রিম প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’-র নামের মধ্যেই বর্ণবিদ্বেষী মনোভাব খুঁজে পেয়েছিলেন নেটিজেনরা। সেই নিয়ে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয় নেটদুনিয়ায়। মূলত তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। সেলেবদের ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনী প্রচারের মুখ হওয়ার জন্যও কম বিতর্ক হয়নি। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের পর তিনি ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপন থেকে সরে আসেন কারণ তাঁর বিষয়টি বর্ণবিদ্বেষমূলক বলে মনে হয়েছিল।