সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে শুরু থেকেই প্রশ্নের মুখে মুম্বই পুলিশ। আজ অভিনেতার মৃত্যুর ২ মাস পরেও এই মামলায় এফআইআর দায়ের করেনি উদ্ধব ঠাকরের পুলিশ। চলছে শুধুমাত্র ইনকুয়েস্ট, জমা পড়েনি ক্লোজার রিপোর্ট- ইনকুয়েস্ট আইনের ভাষায় কোনও মামলার তদন্ত হিসাবে গণ্য হয় না। মুম্বই পুলিশের বিরুদ্ধে বিহার পুলিশের সঙ্গে তদন্তে অসহযোগিতা করা এমনকি 'জোর করে' বিহার পুলিশের এসপি বিনয় তিওয়ারিকে কোয়ারেন্টাইন করবার অভিযোগও উঠেছে। এবার কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডির সঙ্গে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ মুম্বই পুলিশের বিরুদ্ধে। টাইমস নাও সূত্রে খবর সুশান্তের মৃত্যুর পর তাঁর যে ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিল মুম্বই পুলিশ সেটি ইডির হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে নীরব মুম্বই পুলিশ। এই নিয়ে চারবার মুম্বই পুলিশকে চিঠি লিখেছে ইডি, কিন্তু কোনওরকম জবাব মেলেনি। সুশান্তের কল ডিটেলস রেকর্ড এবং ফোন চাওয়া সত্ত্বেও সেটি দিতে কিসের সমস্যা মুম্বই পুলিশের? তা নিয়ে ধন্দে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে মুম্বই পুলিশ, যারা সুশান্তের পরিবারকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দেওয়ার জন্য দায়িত্বশীল তাঁরা দোষীদের আড়াল করবার চেষ্টা করছে। মনে হচ্ছে বেবি পেঙ্গুইন এবং আরও অনেক বেবি পেঙ্গুইনদের আড়াল করবার চেষ্টা চলছে'।
সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে যুক্ত আর্থিক কেলেঙ্কারির দিকটি খতিয়ে দেখছে ইডি। রিয়ার দুটি, তাঁর ভাই শৌভিক এবং বাবা ইন্দ্রজিত্ ও ম্যানেজার শ্রুতি মোদির একটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে ইডির তদন্তকারী অফিসাররা।
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টে রিয়ার পিটিশনের 'সমর্থন জানিয়ে' উদ্ধব ঠাকরে সরকার জানিয়েছে রাজনৈতিক কারণেই বিহার পুলিশকে তদন্তে নামানো হয়েছে। সুশান্তের মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার লাগাতার বিরোধিতা করছে মহারাষ্ট্র সরকার। যদিও সিবিআইয়ের তদন্তে শীর্ষ আদালত কোনওরকম বিধিনিষেধ আরোপ না করায় নিজেদের তদন্ত জারি রেখেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। গতকাল সবপক্ষের লিখিত জবাব জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এখন অপেক্ষা সুপ্রিম রায়ের।