সালার আর ডাঙ্কির মতো সিনেমার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখনও সিনেমা হলে ব্যবসা করছে রণবীর কাপুরের সিনেমা অ্যানিম্যাল। মঙ্গলবারও এই ছবি ব্যবসা করেছে দেড় কোটির বেশি। সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা পরিচালিত ছবিখানা ২৫ দিনে ঘরে তুলেছে বিশ্বব্যাপী ৮৭৪ কোটি। আর ভারতে আয় ৫৩৮ কোটি।
১ ডিসেম্বর হিন্দি, তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, আর কন্নড় ভাষায় মুক্তি পায় ছবিখানা। হিন্দিতে অ্যানিম্যালের আয় ৪৮৯ কোটি। তবে হলে চুটিয়ে ব্যবসা করলেও, সিনেমা নিয়ে নিন্দে বা সমালোচনা কম হয়নি। ছবিতে দেখানো বিষাক্ত পৌরুষকে কাঠগড়ায় তুলেছেন অনেকেই। যেভাবে ছবিতে যৌনতা ও খুনোখুনিকে প্রধান্য দেওয়া হয়েছে, তা দেশের তরুণ সমাজের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে বলেও দাবি বেশিরভাগের। এমনকী নয়াদিল্লিতে চলা রাজ্যসভার শীতকালীন সংসদ অধিবেশনে ছত্তিশগড়ের সাংসদ রঞ্জিত রঞ্জন নিন্দে করেন এই সিনেমার। জানান, তাঁর মেয়ে ও মেয়ের বান্ধবীরা সিনেমা দেখার মাঝপথেই কাঁদতে কাঁদতে হল থেকে বেরিয়ে এসেছে।
সম্প্রতি অ্যানিম্যাল নিয়ে মুখ খুললেন বাংলার সুপারস্টার দেব। অভিনেতা সিনেমার পাশাপাশি রাজনীতিরও বড় অঙ্গ। বড়দিন উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে দেবের সিনেমা প্রধান। যদিও ডাঙ্কি আর সালারের মতো বিগ বাজেটের সিনেমার চাপে শো অনেক কম পেয়েছে দেবের সিনেমা।
অ্যানিম্যাল নিয়ে প্রশ্নে এক সংবাদমাধ্যমকে দেব জানালেন, ‘বক্স অফিস তো অন্য কথা বলছে। অ্যানিম্যাল ব্যবসা দিচ্ছে। সিনেমা চ্যারিটি করার জায়গা নয়। সব সময় সোশ্যাল ম্যাসেজ দেওয়াও সম্ভব নয়। এমন নয় যে আমার অ্যানিম্যাল ভালো লেগেছে। কিন্তু প্রতিবাদ করব না। পরিচালক নিজের বিশ্বাসের জায়গা থেকে সিনেমাখানা বানিয়েছেন। দর্শক সেটা ভিড় করে দেখছেন। আর কী চাই।’
এর আগেও দেব এই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। জিতের মানুষ সিনেমার প্রসঙ্গ টেনে সিটি সিনেমাকে অভিনেতা জানান, ‘বাংলার দর্শক আর বাংলা ছবির দর্শক কিন্তু এক নয়। বাংলার দর্শক অ্যানিম্যাল দেখবে, জওয়ান দেখবে কিন্তু সেখানেই আমরা যখন নতুন কিছু করতে যাব, ধরা যাক জিৎদার মানুষের কথা, তখনই ওঁদের মনে হবে এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়। যখনই আমরা লাউড বা ওভার দ্য টপ কিছু করি তখনই তাঁদের মনে হয় এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়।’