টলিপাড়ায় এখন বিয়ের মরসুম। শুরুটা অবশ্য হয়েছে ২০২৩-এর শেষের দিক থেকেই। সন্দীপ্তা-সৌম্য থেকে সৌরভ-দর্শনা, টেলি অভিনেত্রী শ্রীপর্ণা সহ আরও অনেক তারকাকেই পরপর বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন। অতি সম্প্রতি বিয়েটা সেরে ফেলেছেন ‘কার কাছে কই মনের কথা’র ‘তুতুল’। অর্থাৎ মানালি দে (শিমুল)-র অনস্ক্রিন ননদ। পরিণতি পেয়েছে অর্ণব-রুম্পার ১২ বছরের প্রেম।
বিয়ের পর্ব মিটেছে। এবার তো মধুচন্দ্রিমার পালা। হানিমুনে গিয়ে হোটেলের ঘর থেকেই ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন অর্ণব-রুম্পা। নাহ কোনও রোম্যান্টিক ভিডিয়ো নয়, হালফিলের ভাইরাল ‘গুড বয়েজ গো টু হেভেন, ব্যাড বয়েজ গো টু ব্যাঙ্কক’ গানে রিলস বানাতে দেখা গেল নব-দম্পতিকে। কিন্তু একী! হোটেলের ঘরে রুম্পা ও অর্ণবকে দুদিকে দুটো আলাদা বিছানায় শুয়েই রিলস বানাতে দেখা গেল। তবে তাঁদের রিলস দেখে অনুরাগীদের অনুমান তাঁরাও ব্যাঙ্ককেই মধুচন্দ্রিমা সারতে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন-'বাদশা ভালো লোক, সেই বিতর্কের জন্যই হয়ত আমাকে লোকে জেনেছিলেন! পদ্মশ্রী পেয়ে গর্বিত ও ধন্য'
অর্ণব-রুম্পার এই মধুচন্দ্রিমার ভিডিয়ো দেখে অনেকেই তাঁদের নতুন জীবনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এদিকে, বিয়ের ছবি শেয়ার না করলেও, চার হাত এক হওয়ার ছবি পোস্ট করেছিলেন রুম্পা দাস ও অর্ণব চৌধুরী। বরের হাতের উপর হাত রেখেছিলেন ‘তুতুল’। তাঁর হাত ভরা ছিল মেহেন্দিতে। আর হাতের উপরে রাখা রুপোর গাছকৌট। সেই ছবির ক্যাপশনে তাঁরা লেখেন, ‘যদিদং হৃদয়ং তব, তদিদং হৃদয়ং মম।’
তবে বিয়ের ছবি না দিলেও সামনে এসেছে অর্ণব-রুম্পার ভাত কাপড়ের ভিডিয়ো। সেখানে লাল রঙের শাড়ি পরে দেখা গিয়েছে রুম্পাকে। আর বউয়ের সঙ্গে ম্যাচিং করে অর্নবও পরেছেন লাল রঙের পঞ্জাবি। সেই অনুষ্ঠানে নতুন বউয়ের হাতে ভাতের থালা তুলে অর্ণব বলেন, ‘তোমার দায়িত্ব নিচ্ছি’। সঙ্গে সঙ্গে ভুল শুধরে রুম্পা বলে ওঠেন, 'দায়িত্ব নিলাম বলো।' তাঁদের অনুরাগীরাও এমন ভিডিয়োতে বেশ মজা পেয়েছিলেন।
অর্ণব বা রুম্পা, কেউই কোনওদিন প্রেম নিয়ে লুখোছাপা করেননি। বেশ কিছুদিন ধরে প্রি ওয়েডিং শ্যুটের ছবিও দিচ্ছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে বিয়ের খবর ফাঁস করতে রাজি ছিলেন না দুজনেই। এদিকে বিয়ের পরই নাম বদলে ফেলেছেন অভিনেত্রী। রুম্পা দাস থেকে হয়েছেন রুম্পা দাস চৌধুরী। আপাতত কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকে শিমুলের কাকা শ্বশুরের মেয়ের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। আর অর্ণব রয়েছেন মিঠিঝোরায়, নেগেটিভ চরিত্রে।