এত কটাক্ষ, এত নিন্দার মধ্যেও নিজের অবস্থানে অনড় উরফি। ইনস্টাগ্রামকে কাজে লাগিয়ে আরও একবার সেই বার্তায় দিলেন তিনি।
পরনে শুধুই গাঢ় লাল রঙের স্কার্ট, অনাবৃত ঊর্ধাঙ্গ। এক হাতে রয়েছে লাড্ডু। অন্য হাতে সন্তর্পনে ঢেকেছেন বক্ষযুগল। এমন অবতারে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে অনুরাগীদের দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন উরফি জাভেদ। ভিডিয়োয় হাতে রাখা লাড্ডুতে কামড়ও দিতে দেখা যায় তাঁকে।
অভিনেত্রীর এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক দানা বাঁধে। আরও একবার কটাক্ষ ধেয়ে আসে উরফির দিকে। প্রশ্ন ওঠে তাঁর রুচি নিয়েও। তাঁর পোস্টে ধিক্কার জানিয়ে জনৈক লিখেছিলেন, 'নারীর শরীর ঈশ্বরের উপহার। এ ভাবে তা নগ্ন হয়ে দেখাতে পারেন না আপনি।' আবার অন্য জনের বক্তব্য, 'নিজেকে আর নীচে নামাবেন না। এক দিন আপনারও বয়স হবে। তখন নিজেকে দেখে লজ্জা পাবেন।'
এত কটাক্ষ, এত নিন্দার মধ্যেও নিজের অবস্থানে অনড় উরফি। ইনস্টাগ্রামকে কাজে লাগিয়ে আরও একবার সেই বার্তায় দিলেন তিনি। মা কালীর একটি ছবি পোস্ট করেছেন উরফি। নিন্দকদের উদ্দেশে লিখেছেন, 'যাঁরা বলছেন, আমি ভারতীয় সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছি, তাঁরা আগে জেনে আসুন যে ভারতীয় সংস্কৃতিতে কখনওই নারী শরীরকে যৌনসামগ্রী হিসাবে গণ্য করা হয়নি। মুঘলদের আক্রমণের পর থেকেই নারী শরীরকে ঢাকতে বলা হয়। আমরা নারীদের পুজো করি। তাঁদের সম্মান করা উচিত।'(আরও পড়ুন: হাতে বড় সাইজের লাড্ডু, নগ্ন হয়ে দিওয়ালির শুভেচ্ছা উরফির! ছিঃ ছিঃ রব নেটপাড়ায়)
২০২১ সালে 'বিগ বস ওটিটি'-তে অংশগ্রহণ করেন উরফি। সেই রিয়্যালিটি শোয়ের হাত ধরেই প্রথম জনপ্রিয়তার স্বাদ পান তিনি। নেটমাধ্যমেও তাঁর জনপ্রিয়তা নেহাত কম নয়। ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুগামী সংখ্যা ৩০ লক্ষেরও কিছু বেশি।