পাঁচ দশকেরও বেশি দীর্ঘ কেরিয়ারে ৬৫টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন দিলীপ কুমার। ১৯৪৪ সালে 'জোয়ার ভাটা' সিনেমার হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন। বুধবার সকালে মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কিংবদন্তি অভিনেতার প্রয়াণে শোকের ছায়া গোটা দেশে। শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য় ও সংস্কৃতি বিভাগের তরফে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করা হয়েছে। যেখানে প্রকাশিত হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর শোকবার্তা। সঙ্গে একটি টুইটও করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে। মমতা জানিয়েছেন, ‘কিংবদন্তীপ্রতিম চলচ্চিত্র-ব্যক্তিত্ব দিলীপ কুমার (মহম্মদ ইউসুফ খান)-এর প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ মুম্বইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর।’ ওই বিবৃতিতে দিলীপ কুমারের সুদীর্ঘ কেরিয়ারের কথা উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, ‘দিলীপ কুমার প্রায় পাঁচ দশক ধরে ৬৫টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি: মুঘল -এ,- আজম, গঙ্গা-যমুনা, দেবদাস, শবনম, মুসাফির, মধুমতী, সাগিনা মাহাতো, ক্রান্তি ইত্যাদি।’
পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও অভিনেতার প্রতি সম্মান জানিয়ে তাতে লেখা হয়েছে, ‘দিলীপ কুমার ২০০০ সালে রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত হন। তিনি মুম্বই এর শেরিফ পদের দায়িত্বও পালন করেন… তাঁর মৃত্যুতে চলচ্চিত্র জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি দিলীপ কুমারের সহধর্মিণী প্রখ্যাত অভিনেত্রী সায়রা বানু, পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, চল্লিশের দশকে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেতা। ১৯৬৬ সালে অভিনেত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। দিলীপ কুমার ‘পদ্মবিভূষণ’, ‘পদ্মভূষণ’, ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার’, ‘ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড’-সহ অজস্র সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।