বেকসুর বলে ঘোষণা করা হল শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ানকে। প্রমোদতরীর মাদক কাণ্ডে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন তিনি। কেন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হল? কী বলা হয়েছে?
এনসিবি-র তরফে বলা হয়েছে, আরিয়ানের বিরুদ্ধে কোনও সন্দেহের যুক্তিসঙ্গত অবকাশই নেই। এমনকী আরিয়ানের কাছে কোনও মাদক পাওয়া যায়নি বলেও জানানো হয়েছে। এনসিবি-র তরফে বলা হয়েছে, ‘বিশেষ তদন্তকারী দল নিরপেক্ষ এবং বস্তুনিষ্ঠভাবে তদন্ত করেছে। বিশেষ তদন্তকারী দলের তদন্তের ভিত্তিতে, এনডিপিএস (নার্কোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস) আইনের বিভিন্ন ধারায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ (চার্জশিট) দায়ের করা হয়েছে। পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে বাকি ছ’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে না।’ এই ৬ জনের মধ্যেই রয়েছেন আরিয়ান।
সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ২ অক্টোবর যখন অভিযান চালানো হয়, আরিয়ান খান, ইশমিত, আরবাজ, বিক্রান্ত এবং গোমিতকে আন্তর্জাতিক পোর্ট টার্মিনালে এবং নুপুর, মোহাক এবং মুনমুন ধামেচাকে প্রমোদতরীতে আটক করা হয়, তখন আরিয়ান খান এবং মোহক ছাড়া সকলের কাছে মাদক পাওয়া যায়। এটিও আরিয়ানের মুক্তির অন্যতম কারণ।
২ মার্চ হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে এমন কোনও প্রমাণ নেই, যা থেকে বোঝা যায়, আরিয়ান খান মাদক চক্র বা আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারী সিন্ডিকেটের অংশ। এটি আরিয়ানের মুক্তির পিছনে অন্যতম কারণ।
সঞ্জয় কুমার সিংয়ের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) পুরো মামলাটি পুনরায় তদন্ত করছিল এবং দেখা গিয়েছিল যে আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে মামলা চালানোর জন্য যথেষ্ট প্রমাণ নেই। এসআইটি ৬ নভেম্বর মামলাটির দায়িত্ব নেয়। তাদের তদন্তে দেখা গিয়েছে, আরিয়ান খান কখনও মাদকসেবন করেননি। তিনি যে আন্তর্জাতিক মাদকপাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত নন, সেটিও প্রমাণ করে তাঁর ফোনে পাওয়া চ্যাটগুলি। বোম্বে হাইকোর্ট গত বছরের ২৮ অক্টোবর আরিয়ানকে জামিন দেয়। তখন বলা হয়েছিল, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মাদকপাচার সংক্রান্ত কাজে লিপ্ত থাকার মতো তেমন প্রমাণ নেই। এই মামলা থেকে আরিয়ানের নিষ্কৃতি পাওয়ার অন্যতম কারণও এটি।
হাই-প্রোফাইল মামলাটি নিয়ে এনসিবি’ও বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। একজন প্রধান সাক্ষী অভিযোগ করেন, এজেন্সির মুম্বই জোনের প্রধান সমীর ওয়াংখেড়ে ২৫ কোটি টাকা জোর করে আদায় করার চেষ্টা করছেন আরিয়ানকে কাজে লাগিয়ে। সাক্ষী আরও অভিযোগ করেন, তাঁকেও জোর করে সাদা কাগজে সই করানো হয়েছে। এর পরেই এনসিবির পক্ষে মামলাটি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছিল।