গবেষণায় দেখা গিয়েছে হার্ট ও লিভারকে ভালো রাখতে ১৫০ মিনিটই যথেষ্ট। বর্তমানের হাইস্পিডের দুনিয়ায় আমারা এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছি যে কাজের চাপে নিজেদের শরীরের প্রতি যত্ন নিতে পারি না। নিজের শরীরকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক রাখতে খরচ করুন মাত্র ১৫০ মিনিট।
আমাদের শরীরের কথা যখন আসে তখন আমরা প্রায়সই উপেক্ষা করে থাকি শরীরচর্চাকে। নানা ব্যায়াম না করার অজুহাত খুঁজি। কিন্তু আপনার হয়তো জানা নেই মাত্র ১৫০ মিনিট লাগবে আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে।
সাম্প্রতিক আমেরিকার একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে আপনি যদি নিয়মিত সকালবেলায় হাঁটেন তা হলে তা ফ্যাটি লিভারের জন্য খুবই উপকারি। হাঁটার বিকল্প কিছুই হতে পারে না। প্রায় প্রত্যেক ডাক্তার সকালবেলায় হাঁটার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
রোজ সকালে ব্যায়াম লিভারের চর্বি কমাতে সাহায্য করে থাকে। আপনিও যদি ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভোগেন তাহলে ১৫০ মিনিট সত্যই আপনার জন্য কার্যকরি। এমনটাই বলছেন পেন স্টেট কলেজ অফ মেডিসিনের গবেষকরা।
আপনি কী জানেন? রোজকার ব্যায়ামে আপনার শরীরে রক্ত চলাচল ভালো হয়ে থাকে। যার ফলে হার্ট অ্যাটাকের মতো ঝুঁকি থেকে আপনি মুক্ত হতে পারেন। রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে।
শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়ামের বিকল্প কিছু হতে পারে না। আপনি যতই মেডিসিন খান তবুও চিকিৎসকেরা নিয়মিত ২০-৩০ মিনিট শরীরচর্চার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সকাল যদি শুরু হয় শরীরচর্চা দিয়ে তাহলে নেতিবাচক চিন্তা, ক্লান্তি, অবসাদ আপনার ধারে কাছেও আসবে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বলা আছে শারীরচর্চা থেকে বিরত থাকার ফলে শারীরিক সমস্যার হার বেড়েছে। ২০২২ সালের এই প্রতিবেদনে এমনটাই ধরা পড়েছে। আপনি কি জানেন নিয়মিত ব্যায়াম ৩২% হার্টের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়?
সত্যিই কি ১৫০ মিনিটে সুস্থ হওয়া সম্ভব?
অনেক ব্যক্তি মনে করেন ব্যায়াম তাদের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কিন্তু বিশেজ্ঞররা বলেছেন অন্য কথা, তাদের দাবি, নিয়মিত ১৫০ মিনিটের ব্যায়াম কমাতে পারে ডাইবিটিস, কানসার, হার্টের মতো বড় বড় রোগকে। তাহলে আর দেরি না করে আপনার নিজের জন্য খরচ করে ফেলুন মাত্র ১৫০ মিনিট।
আপনি ১৫০ মিনিটে কীভাবে ব্যায়াম করবেন?
যদি হাতে না থাকে সময় তাহলে, পুরো সপ্তাহকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিতে পারেন। ৫ দিনে ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করা কোনও কঠিন ব্যাপার নয়। এক্ষত্রে রাখতে পারেন আপনার তালিকায় সাঁতার, সাইকেলিং-এর মতো সহজ চর্চাকে। শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকার জন্য জিম করা নয়। জোরে জোরে হাঁটা কিংবা পরিশ্রমসাধ্য কোনও কাজ করাটাও শরীরচর্চার মধ্যে পড়ে।