স্পর্শ আমাদের নানান ভাবে আশপাশের জগৎকে চিনতে সাহায্য করে। অন্যদের সঙ্গে জুড়ে থাকতে, যোগাযোগ বজায় রাখতে সাহায্য করে। জড়িয়ে ধরা হচ্ছে তার অন্যতম। এটা আমাদের মনে করায় যে আমরা নিরাপদ, আমাদের পাশেও কেউ আছে। এই জড়িয়ে ধরা আমাদের মস্তিষ্ককে অ্যাক্টিভেট করতে সাহায্য করে যা আমাদের শরীরের ভেগাস স্নায়ুকে নিয়ন্ত্রন করে থাকে, আর এই ভেগাস স্নায়ুটি ৭৫ শতাংশ প্যারাসিম্প্যাথেটিক ফাইবার দিয়ে তৈরি। আর সেই কারণেই বলা হয়ে থাকে যে জড়িয়ে ধরলে এনার্জি ফিরে পাওয়া যায়, মনের ক্ষত সেরে ওঠে এবং আমরা একে অন্যের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করতে পারি।
এই জড়িয়ে ধরা আমাদের নানান ভাবে সাহায্য করে থাকে, মূলত আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। দেখে নিন জড়িয়ে ধরা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে সাহায্য করে।
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: কাউকে জড়িয়ে ধরলে তাঁকে মানসিক ভাবে সাপোর্ট করা হয়। তাঁকে বোঝানো হয় যে কেউ আছে তাঁর পাশে। আর এই মানসিক ভরসাই আমাদের নানান রোগ থেকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে থাকে।
২. রক্তচাপ কমায়: আমরা যখন কাউকে জড়িয়ে ধরহ তখন সি-ট্যাক্টাইল অ্যাফারেন্ট স্নায়ুকে স্টিমিউলেট করে এবং এবং ত্বক থেকে সিগন্যাল পাঠায়। এটা অক্সিটক্সিন রিলিজ করতে সাহায্য করে যা আমাদের হার্টরেট কমিয়ে দেয়, একই সঙ্গে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৩. ভালো রাখে: প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে আমাদের খারাপ মুড, মন খারাপ, ইত্যাদি দূর হয়ে যায়। আমরা ভালো থাকতে শুরু করি।
৪. ঘুমাতে সাহায্য করে: কর্টিসল হচ্ছে সেই হরমোন যা আমাদের ঘুমকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এটি সব থেকে বেশি থাকে সকাল ৯টা নাগাদ যা আমাদের ঘুম থেকে উঠতে বাধ্য করে, মাঝরাতে এটা সব থেকে কম যায়। কিন্তু চাপ থাকলে এই নিয়ম বদলে যায়। তখন সামান্য জড়িয়ে ধরাও সেটাকে আবার পুরোনো ছন্দে ফেরাতে সাহায্য করে।
৫. চাপ কমাতে সাহায্য করে: গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে কাউকে জড়িয়ে ধরলে অক্সিটক্সিন হরমোন বৃদ্ধি পায় শরীরে যা আমাদের ভালো অনুভূতি দেয়, এটা অনুভব করায় যে আমরা সুরক্ষিত আছি। তাই এটা আমাদের চাপ কমাতে সাহায্য করে।