শীতে পেশি এবং গাঁটের ব্যথার সমস্যা বাড়ে। কয়েকটি কাজ করলে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। জেনে নিন, সেগুলি কী কী।
1/10 শীতকালে, ব্যারোমেট্রিক চাপ কমে গেলে নরম টিস্যুগুলি ফুলে যেতে পারে এবং এটি জয়েন্টগুলিতে চাপ দিতে পারে। এই কারণেই শীতকালে বাতের ব্যথা, গাঁটের এবং পেশির ব্যথা বাড়ে। এছা়ড়াও পেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে এই সময়ে।
2/10 সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ফিজিওথেরাপিস্ট, ক্লাউডনাইন গ্রুপ অফ হসপিটালস, চেন্নাই, ওএমআর শাখার বিশেষজ্ঞ মোহনপ্রিয়া এই বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, আসলে শীতে কাদের ব্যথা বাড়বে, তা বলা সম্ভব নয়। কারও ক্ষেত্রে এটি বাড়ে। কারও ক্ষেত্রে তেমন কোনও বদল হয় না।
5/10 ৩। স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন: অতিরিক্ত ওজন জয়েন্টগুলিতে অতিরিক্ত চাপ দিতে পারে, যার ফলে ব্যথা বৃদ্ধি পায়। একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন এবং আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
6/10 ৪। হাইড্রেটেড থাকুন: ডিহাইড্রেশন জয়েন্টের শক্ততায় অবদান রাখতে পারে। সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করুন। এতে পেশি নমনীয় থাকবে। ব্যথাও ভোগাবে না।
7/10 ৫। গরম বা ঠান্ডা থেরাপি ব্যবহার করুন: পেশির শক্তভাব কমাতে জয়েন্টগুলিতে হিট প্যাক বা গরম তোয়ালে লাগান। কোল্ড প্যাকগুলি প্রদাহ কমাতে এবং অঞ্চলটিকে অসাড় করতে সাহায্য করতে পারে। কোনটি আপনার দরকার, বিশেষজ্ঞের থেকে জেনে নিন।
8/10 ৬। সাপ্লিমেন্ট খান: কিছু লোক গ্লুকোসামিন এবং কনড্রয়েটিনের মতো সাপ্লিমেন্টগুলি ব্যবহারের মাধ্যমে জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি পান। কোনও নতুন সাপ্লিমেন্ট শুরু করার আগে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
9/10 ৭। ওষুধ খান ভালো করে জেনে: ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথা উপশমকারী বা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধগুলি জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। কোনও ওষুধ ব্যবহার করার আগে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
10/10 ৮। ব্যায়াম: আপনার হাঁটু এবং নিতম্বকে নমনীয় করে এমন পেশিগুলিকে সপ্তাহে পাঁচবার ৩০ মিনিটের ব্যায়াম দিয়ে শক্তিশালী করা যেতে পারে। জয়েন্ট এবং পেশিতে ঠান্ডার প্রভাব কমানোর জন্য আমাদের ১৫ মিনিটের ওয়ার্মআপ ব্যায়াম এবং কুল-ডাউন স্ট্রেচ করতে নিজেদেরকে উৎসাহিত করতে হবে। স্ট্রেচিং ব্যায়াম আপনার জয়েন্টগুলিকে সমর্থন করতে পারে।