হালকা সবুজ রঙের ছোট ছোট ফল, খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই চুল আর ত্বকের জন্যও ভালো। আবার শরীরের জন্যও ভীষণ উপকারি। আয়ুর্বেদেও এই ফলটির ওষধিগুণকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
1/6 শীতে কমবেশি সকলেই চুলের যত্নে গাফিলতি করে বসেন। নিয়ম করে তেল-শ্যাম্পু ব্যবহারে অনীহা আসে অনেকেরই। আর এই সময় তাই বাড়ে চুলের সমস্যাও। স্ক্যাল্পে খুসকি দেখা যায়। অনেকের আবার এই সময় চুল পড়ার সমস্যাও বেড়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারে একটি ফল। আর তা হল আমলকি। ভিটামিন সি-এর ভাঁড়ার আমলকি ত্বক থেকে চুল সব কিছুর জন্যই দুর্দান্ত কাজ করে।
2/6 আমলকিতে আছে ফাইটো-নিউট্রিয়েন্ট, ভিটামিন ও মিনারেল। যা আপনার স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। এই ফল চুল মজবুত রাখার পাশাপাশি কন্ডিশনিংও করে। আমলকিতে আসলে রয়েঠে ৮১.২ শতাংশ ময়শ্চার। তাই রুক্ষ ও শুষ্ক চুলের জন্য এটি অতুলনীয়।
4/6 বাজার থেকে কিনে আনুন আমলকির পাউডার। এবার সেই পাউডাক দু’ চা চামচ নিয়ে তার সঙ্গে সামান্য গরম জল মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর তাতে মেশান এক চা চামচ মধু আর দু’ চা চামচ টক দই। এই মাস্ক চুলে লাগান। ৩০ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন।
5/6 আমলকি থেঁতো করে রস বের করে নিন। এবার চুলের গোড়ায় টাটকা আমলকির রস লাগালে কোলাজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে আর চুলের বৃদ্ধিও হবে চমৎকার। আমলকির রস লাগানোর পর মিনিট ২০ অপেক্ষা করুন। তারপর কোনও মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
6/6 যাদের চুল অকালে সাদা হয়ে যাচ্ছে তাদের জন্যও মুশকিল আসান হতে পারে আমলকি। এই ফলের রস যেমন চুল ঘন কালো রাখে, তেমন চুলে ফিরিয়ে আনে উজ্জ্বলতাও। কয়েকটা আমলকি টুকরো করে কেটে জলে দিয়ে 30 মিনিট ফুটিয়ে নিন। তারপর সেই জল ঠান্ডা হলে ছেঁকে তা দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। মাসখানেক টানা করলে পাবেন উপকার।