অতিরিক্ত ক্যলোরিযুক্ত খাবার খেলে, কম পরিশ্রম করলে অল্প দিনেই মোটা হয়ে যাবেন। ক্যালোরি খরচ না হওয়ার ফলে তা জমে যায় এবং ওজন বেড়ে যায়। স্থূলতার কারণে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল তৈরি হয়। এতে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায়। আর ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলে কিডনি খারাপ হতে শুরু করে, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। আর লিভারে ফ্যাট জমার কারণে ফ্যাটি লিভার মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
আবার ওজন বেড়ে গেলে ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কাও অনেক বেড়ে যায়। অতিরিক্ত মোটা হওয়ার কারণে পড়তে হয় নানা সমস্যায়। চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেখা দেয় নানা জটিলতা। এমনটাই মনে করেন চিকিৎসকেরা।
অপারেশনের ক্ষেত্রেও নানা সমস্যায় পড়তে হয় মোটা ব্যক্তিদের। রোগা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি কম। সিনিয়র ফ্যাকাল্টি কিং জর্জ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রমা সেন্টারের চিকিৎসকেরা এমনটাই মন্তব্য করেছেন। তাঁরা বলেছেন একজন রোগা ব্যক্তির তুলনায় মোটা ব্যক্তির ওপর ওষুধ কাজ করতে বেশি সময় নেয়। ওষুধ হোক বা অক্সিজেন, সাড়া দেয় দেরি করে। ফলে রোগীর সেরে উঠতে বেশি সময় লাগে।
এখনকার তরুণ তরুণীরা জাঙ্ক ফুডে অভ্যস্ত। কিন্তু অজান্তেই তাঁরা তাদের বিপদ ডেকে আনছে। এগুলি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে শরীরে মেদ জমে যায়। হাঁটাচলা করা, পরিশ্রমের কাজ করতে না পারা, এমন সব সমস্যায় তাঁদের পড়তে হয়। অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া অবসাদগ্রস্থ হয়ে যাওয়া তাঁদের ঘিরে ধরে। ডাক্তারের কাছে গিয়েও সুরাহা হয় না।
আপনার বয়স যদি ৫০ এর ঊর্ধ্বে হয় তাহলে ঝুঁকির পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। চিকিৎসকেরা বলেছেন শরীরে অতিরিক্ত মেদ থাকার কারণে অপারেশন করতে সমস্যা হয়। এতে ঝুঁকির পরিমাণও থাকে বেশি। কখনও কখনও অপারেশন করার কিছুদিন পর দেখা দেয় নানা জটিলতা।
তাই যাঁদের জন্মগতভাবে মোটা হওয়ার প্রবণতা আছে, বা যাঁরা বেশি বাইরের খাবারে অভ্যস্থ তাঁদের আগে থেকেই খ্যাদ্যাভাসের দিকে নজর দিতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা ও ব্যায়াম করা উচিত। স্থূল ব্যক্তিরা অল্পতেই চিকিৎসার প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। তবে সঠিক ওজন ফিরে পেতে ধৈর্য রাখা অবশ্যই জরুরি এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। তা নাহলে পরবর্তীকালে চিকিৎসা করতে সমস্যা হতে পারে।