আটা, ময়দা, চাল ইত্যাদির তুলনায় বাজরা অনেক বেশি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। কারণ এর মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি ও ক্যালোরির পরিমাণ কম। ফলে ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য এটি যথেষ্ট উপকারী । এই প্রতিবেদনে তাদের জন্যই থাকছে বাজরার তিনটি সুস্বাদু রেসিপি।
১. বাজরার দোসা:
উপকরণ: ১০০ মিলিলিটার বাজরা, বিউলির ডাল ৫০ গ্ৰাম ইউলির চাল ১০০ গ্ৰাম, জল, বিট লবণ ও তেল।
পদ্ধতি: প্রথমে বাজরা, চাল ও ডাল আলাদা আলাদা করে তিন ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর বাজরা ও চাল একসাথে এবং ডাল আলাদা করে গ্ৰাইন্ডারে পেস্ট করে নিতে হবে। এরপর তিনটি একসঙ্গে মিশিয়ে তাতে লবণ দিয়ে আট ঘন্টা ফার্মেন্টেশনের জন্য রেখে দিতে হবে। ফার্মেন্টেশন হয়ে এলে মিশ্রণ দিয়ে ইডলি ও দোসা বানিয়ে গরম গরম সম্বর ডাল ও নারকেল চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন।
২. বাজরার লাড্ডু:
উপকরণ: এক কাপ বাজরা ময়দা, কয়েকটা কাজু বাদাম, অর্ধেক কাপ জল, ১৫০ গ্ৰাম গুড়, এলাচ গুঁড়ো আর ঘি।
পদ্ধতি: একটি প্যান গরম করে তাতে ঘি দিয়ে বাজরার ময়দা হালকা আঁচে পাঁচ মিনিট ভেজে নিতে হবে। একইভাবে কাজু বাদাম অল্প ভেজে সরিয়ে রাখতে হবে। এবার একটি পাত্রে অল্প জল গরম করে তাতে গুড় দিয়ে ফোটাতে হবে। এরপর গুড়ের সিরাপ, বাজরার ময়দা, কাজু এলাচ মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিন। এবারে মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট বলের আকারে গড়ে নিলেই তৈরি বাজরার লাড্ডু।
৩. বাজরা পরিজ:
উপকরণ: অর্ধেকের অর্ধেক কাপ বাজরা, জল এক কাপের চারভাগের তিনভাগ,দই আধ কাপ,লবণ, গোলমরিচ, একটা কাঁচালঙ্কা, আধ চা চামচ গ্ৰেট করা আদা, সামান্য জিরে, সর্ষে, এক টেবিল চামচ ঘি ও পাঁচ ছটা কারিপাতা।
পদ্ধতি: প্যানে বাজরার ময়দা দুমিনিট শুকনো নেড়ে নিয়ে অল্প অল্প করে জল মেশাতে হবে। দলা না পেকে যায় এমন ভাবে কষাতে হবে। এভাবে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট কষানোর পর এতে লবণ আর মরিচ দিতে হবে। এরপর কিছুক্ষণ ঠান্ডা করতে রেখে একটি আলাদা প্যানে ঘি দিয়ে জিরে, লঙ্কা, কারিপাতা ও আদা সতে করে নিন। এরপর বাজরার মিশ্রণটিতে অল্প দই মিশিয়ে তাতে এই সতে করা মিশ্রণটি মিশিয়ে দিলেই তৈরি বাজরার পরিজ।