আবার একটি অতিমারির জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত। যে কোনও সময়ে এসে পড়তে পারে এই অতিমারি। এবং এটির আকার কোনও অংশে কোভিডের চেয়ে কম তো হবেই না, বরং বেশিও হতে পারে। এমনই আশঙ্কার কথা জানালেন ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা।
কী বলছেন বিজ্ঞানীরা? তাঁদের দাবি, পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে নতুন এক অতিমারি ছড়িয়ে পড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। কোন রোগের অতিমারি এটি হতে চলেছে, তা এখন বোঝা যায়নি। আর সেই কারণেই একে ‘ডিজিজ এক্স’ বলে ডাকছেন তাঁরা। (আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্সে নাকি অনেকে দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন, WHN একে অতিমারি ঘোষণার পথে)
কেন এমন বক্তব্য তাঁদের? এর মধ্যে ইংল্যান্ডে বেশ কয়েকটি রোগের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, যা চিন্তায় ফেলেছে বিজ্ঞানীদের।
- হালে ইংল্যান্ডের নর্দমার জলে পোলিয়োভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এটি শেষ পাওয়া গিয়েছিল তাও ৪০ বছর আগে।
- হালে ইংল্যান্ডে ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়েছে মাঙ্কিপক্স। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৯০০ জন আক্রান্ত হয়েছে এই অসুখে।
- সম্প্রতি ইংল্যান্ডে লাসা ফিভারের সংক্রমণ টের পাওয়া গিয়েছে।
- বেশ কয়েকটি জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে বার্ড ফ্লুও।
এই সব ক’টি পরিসংখ্যান এবং লক্ষণ দেখেই বিজ্ঞানীদের মত, ইংল্যান্ড আগামী দিনে একটি অতিমারির কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে। (আরও পড়ুন: কয়েক বছরেই ভারত হয়ে উঠবে একের পর এক অতিমারির আঁতুড়ঘর, কেন বলছেন বিজ্ঞানীরা)
‘ডিজিজ এক্স’ কী? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-এর মতে, ‘Disease X’ কথাটির অর্থ হল, এমন একটি রোগ যা অতিমারি ঘটাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু সেই রোগটির প্যাথোজেন কীভাবে মানুষের ক্ষতি করতে পারে, তা অজানা।
ইংল্যান্ডের University of Edinburgh-এর অধ্যাপক এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ মার্ক উলহাউস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এমন একটি জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, যা যে কোনও সময়ে নতুন একটি অতিমারি সৃষ্টি করতে পারে। (আরও পড়ুন: যাঁদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে, তাঁরা করোনার টিকা নিলে কি কোনও সমস্যা হতে পারে)
কেমন হতে পারে এই ‘ডিজিজ এক্স’? বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটিও এক ধরনের Zoonotic রোগ হওযার আশঙ্কাই বেশি। কী এই Zoonotic রোগ? সাধারণত মানুষ থেকে অন্য প্রাণীদের মধ্যে বা অন্য প্রাণীদের থেকে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে এমন রোগকেই Zoonotic রোগ বলা হয়। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা তেমনই কোনও অসুখ হতে চলেছে এই ‘Disease X’।