বাঙালির রান্নাঘরে ধনেপাতার অবাধ প্রবেশ। মাছের ঝোল থেকে ডিমের ঝাল কিংবা মুরগি কষা, সবেতেই ' একটু' ধনেপাতা ছড়িয়ে দিলেই তার স্বাদ বদলে যায়। আর ভোজনপ্রিয় বাঙালি আয়েস করেই খেতে পছন্দ করে, ফলে তার পাতে ধনেপাতার নিত্য আনা গোনা লেগেই থাকে। কিন্তু আপনি কি জানেন ধনে পাতা কেবলই আপনার খাবারের স্বাদ বাড়ায় এমনটা মোটেই নয়। উল্টে এর একাধিক গুণ আছে। এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি। এই উপাদানগুলো ত্বকের যে ক্ষতিকর ব়্যাডিক্যাল থাকে সেগুলো নষ্ট করতে সাহায্য করে।
শুধুই কি তাই? ধনেপাতা ব্যবহার করে যৌবনকে ধরে রাখা যায় দীর্ঘদিন। ত্বক হোক কিংবা ঠোঁট সবই সুন্দর থাকে ধনেপাতার রসে। ঠোঁটকে আরও কোমল আর সুন্দর করতে চাইলে একটু বেটে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেললেই পাবেন মনের মতো ফল। যাঁরা নিয়মিত ধূমপান করেন তাঁরা এই উপায়ে ঠোঁটের সৌন্দর্য ফেরাতে পারেন। কারণ ধূমপান করলে ঠোঁট কালো হয়ে যায়।
ত্বক ভালো রাখার জন্য ধনেপাতা বাটার সঙ্গে একটু গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে লাগান। মিনিট ১৫-২০ ধরে এটাকে ম্যাসাজ করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। পেয়ে যাবেন সতেজ ত্বক। দূর হবে বলিরেখা।
ধনেপাতা আর কোন উপায়ে আপনাকে সাহায্য করতে পারে দেখে নিন।
১. ধনেপাতা বেটে সেটার সঙ্গে মধু মিশিয়ে যদি খান তাতে বাড়বে যৌনশক্তি।
২. কিডনির সমস্যায় ভুগে থাকলে ধনেপাতা বেটে তার সরবত বানিয়ে খান। ভালো উপকার পাবেন।
৩. ডায়াবিটিসের রোগী আপনি? তাহলে খাদ্যতালিকায় নিয়মিত রাখুন ধনেপাতা। এটা আপনার সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।
৪. হজমের সমস্যায় ভোগেন? তাহলেও ভরসা রাখুন ধনেপাতার উপর। এটা হজম ক্ষমতা বাড়ায়।
৫. চোখের জন্যও ভীষণ উপকারি ধনেপাতা।
৬. রক্তাল্পতা থেকে অন্যান্য রোগ যা মহিলাদের হয়ে থাকে সেগুলো কমাতেও সাহায্য করে ধনেপাতা, কারণ এতে থাকে ভিটামিন এ।
৭. ধনেপাতা শরীরে খারাপ কোলেস্টরল জমতে দেয় না।
৮. গাঁটের ব্যথা ভালো রাখে ধনেপাতা।
৯. অ্যালজাইমার্সের হাত থেকে বাঁচতে নিয়মিত খান ধনেপাতা। এটা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
১০. মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।