বর্ষা মানেই প্যাচপ্যাচে কাদা আর জল ঠেলে রাস্তায় চলার দিন। এরই সঙ্গে বর্ষায় রোগ জীবাণুর দাপটও কম থাকে না। এমন এক মরশুমে মহিলাদের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা খুবই জরুরি হয়ে পড়ে। বিশেষত যৌনাঙ্গের আশপাশে বা যোনির ভিতর সংক্রমণের প্রবণতা এই সময় বেশি থাকে। কী কী পন্থা অবলম্বন করলে এই সমস্যা কাটিয়ে তোলা যায় দেখা যাক।
-বর্ষায় গুমোট গরমে যোনির চারপাশ ঘামতে থাকে বেশি। এই ঘাম থেকেই নানান শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। এছাড়াও মাসিক ঋতুস্রাবের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ইয়েস্ট সংক্রমণ এই সময় দেখা যায়। হরিণের রক্তে সত্যিই কি স্নান করেন পুতিন? স্বাস্থ্য ঘিরে বহু প্রশ্ন উঠছে
- ঘাম থেকে যাতে সংক্রমণ না হয় বা যোনির চারপাশে ময়লা জমে সংক্রমণ যাতে না হয়, তার জন্য মাঝে মাঝেই যৌনাঙ্গের চারপাশ জল দিয়ে বা টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত। কম বয়সে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা কেন হয়? দায়ী এই কারণগুলি
-ঋতুস্রাব থেকে সংক্রমণ যাতে না আসে তার জন্য প্যাড বা ট্যাম্পনের থেকে অনেক ভাল মেনস্ট্রুয়াল কাপ।
-বর্ষায় চাপা জাতীয় পোশাক না পরাই ভাল। বেশ চাপা পোশাক পরলে ঘাম ও ময়লা জমে যৌনাঙ্গে নানান ধরনের সংক্রমণকে বাসা বাঁধার জায়গা করে দিতে পারে। ঢিলে পোশাকে বাতাস চলাচল করলে চুলকানিও কম হতে থাকবে।
-যৌনাঙ্গের চারপাশের 'হেয়ার গ্রোথ' যদি কমাতে চান, তাহলে শেভ করতে পারেন। তবে বর্ষায় তা বেশ শেভ করা ঠিক নয়, বলে মন্তব্য বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের। পিউবিক হেয়ার থাকলে তা ব্যাকটেরিয়ার আনাগোনা রুখে দেয়।
-দিনে অনেক বেশি করে জল পান করুন। শরবত বা নুন চিনির জল অনেক বেশি করে পান করলে সংক্রমণ দূরে থাকবে।
-ঋতুস্রাবের সময় ভুলেও কাপড় ব্যবহার করবেন না। বর্ষায় কাপড় থেকে বহু ধরনের সংক্রমণ মূত্রাশয়ের ভিতরে জন্ম নেওয়ার চেষ্টা করে। ফলে সুস্থ থাকতে এই ভুলগুলি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া ভাল।