দশমী মানেই দুর্গা মায়ের চলে যাওয়া। তবে, এ যাওয়ার মাঝেও আনন্দ আছে। মা-কে বরণ করে নিজেদের মধ্যে সিঁদুর খেলরা মজাই আলাদা! সঙ্গে, অপেক্ষা আসছে বছরের পুজোর! একটা একটা করে দিন গুনতে থাকা পরেরবারের জন্য।
দশমীতে সিঁদুর খেলার পর অনেকেরই ত্বক আর চুলে নানা সমস্যা দেখা যায়। তবে, সামনেই কিন্তু রয়েছে লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজোর মতো একাধিক উৎসব। তাই চেহারার জৌলুস হারালে একেবারেই চলবে না! বরং, দেখে নিন কীভাবে নেবেন নিজের যত্ন।
ত্বকের জন্য:
সিঁদুর খেলে বাড়ি ফিরেই মুখ ভালো করে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিন। তার আগে যদি মেকআপ রিমুভিং ওয়াইপস দিয়ে মুছে নিতে পারেন তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়। এরপর হালকা হাতে স্ক্রাব করে নিন যাতে রোমকূপে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়। তারপর মুখে টোনার লাগিয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
মুখে ফেসপ্যাক লাগান ত্বকের ধরণ অনুসারে। আপনার ত্বক যদি রুক্ষ-শুষ্ক হয় তবে দই, বেসন মিশিয়ে ফেসপ্যাক লাগাতে পারেন। সঙ্গে দিতে পারেন মধুও। এই প্যাক লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে নিন।
যাঁদের অয়েলি স্কিন তাঁরা পাঁকা কলা চটকে পেসপ্যাক বানাতে পারেন। পাঁকা কলা চটকে তাঁর সাথে এক টেবিল চামচ মধু এবং কয়েকফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ১৫ মিনিট বাদে উষ্ণ গরম জলে পরিষ্কার করে নিন। ত্বকের থেকে তেলতেলে ভাব তো দূর হবেই সঙ্গে ত্বকও পরিষ্কার হবে।
চুলের জন্য
যদি মনে হয় মাথার স্ক্যাল্পে বা চুলের ডগা সিঁদুরে ভরে গিয়েছে, তাহলে বাড়ি ফিরে অবশ্যই শ্যাম্পু করে নিন। এবার ভেজা চুলে ভালো করে ডিম কনডিশনিং করুন। বাজারচলতি হেয়ার প্যাকের পাশাপাশি ঘরোয়া প্যাকও বানাতে পারেন। তারপর ভালো করে আরেকবার চুল ধুয়ে নিন। চুলে লিভ ইন কনডিশনার লাগালেই সমস্যা শেষ!
ডিম, মধু আর টক দইয়ের একটা হেয়ার মাস্ক চুলে মাখতে পারেন। তবে এটি লাগানোর ৩০ মিনিট পর আবার শ্যাম্পু করে নিন। সেরকম হলে এই হেয়ারমাস্ক আগামীকালও লাগাতে পারেন। বেশিক্ষণ ভেজা চুলে থাকলে রাতে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।