নলেন গুড় আর পাটালি না হলে বাঙালির শীতকাল ঠিক জমে না। পায়েস, রসগোল্লার পাশাপাশি ছানার সন্দেশ ও পৌষ সংক্রান্তির পাটিসাপটা, পিঠে-পুলি, সবেতেই নলেন গুড়ের স্বাদ চাই। বিশেষজ্ঞদের কথায়, চিনির অন্যতম বিকল্প হল গুড়। এটি একদিকে যেমন খাবারের স্বাদ বাড়ায়, তেমনই গুড় আমাদের শরীর সুস্থ রাখে। তবে সরাসরি গুড় খাওয়ার বদলে কিছু জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে এটি। এতে গুড়ের স্বাস্থ্যগুণ অনেকটা বেড়ে যায়।
গুড় ও দুধ: বিশেষজ্ঞদের কথায়, রোজ এক গ্লাস দুধে এক চামচ গুড় মিশিয়ে খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যায়। এছাড়াও, পিরিয়ডের সময় পেটের ব্যথা হলে গুড় মেশানো দুধ তা কমাতে সাহায্য করে।
গুড়ের হালুয়া: গুড় যখন হাতের কাছে, তখন চিনির পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করুন। হালুয়াও সেভাবে রাঁধুন। এই শীতকালীন খাবারে রয়েছে প্রচুর আয়রন। গুড় দিলে হালুয়ায় স্বাদ অনেকগুণ বেড়ে যায়। তেমনই শরীরে আয়রনের জোগানও বাড়বে।
গুড়ের জল: সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে গুড়ের জলের জুড়ি মেলা ভার। রোজ সকালে হালকা গরম জলে গুড় মিশিয়ে খালি পেটে খান। বিশেষজ্ঞদের কথায়, এতে মলত্যাগে সমস্যার দূর হয়। এমনকী অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটে ব্যথাও কমে যায়। ফুসফুস এবং অন্ত্র থেকে টক্সিক পদার্থ বার করে দেয় গুড়। রোজ গুড়ের জল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
গুড় ও তিলের লাড্ডু: সাদা তিলের সঙ্গে গুড় ও ঘি মিশিয়ে মন্ড করে নিন। এবার তাই দিয়ে গড়ে নিন প্রিয় লাড্ডু । তিল বীজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি উচ্চ রক্তচাপ কমায় ও রক্ত থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে। হৃদরোগ সৃষ্টিকারী উচ্চ ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। শরীরে ভিটামিন ডি, বি ১২, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে তিল তার জোগান ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, তিলে থাকা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের জন্য উপকারী। এর পাশাপাশি গুড়ের মধ্যে আয়রন, কপার, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা রক্তাল্পতা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শরীর থেকে টক্সিক বা ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup