বয়স বাড়ার অন্যতম একটি লক্ষণ হল পুরোনো কথা ভুলে যাওয়া অর্থাৎ স্মৃতিভ্রম। তবে আজকাল বয়স হলে তবেই কোনও সমস্যা দেখা দেবে, এমনটা আর হয় না। কম বয়সেও অনেক জটিল রোগ দেখা দিতে পারে। যেমন কম বয়সেই ডায়াবিটিসের মত সমস্যা জাঁকিয়ে বসছে। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপও দেখা যায় অনেকটা কম বয়সে। তেমনই বয়সের কোঠা ৩০ পেরোলেই আজকাল কমতে থাকে স্মৃতিশক্তি। ভুলে যাওয়ার সমস্যা এখন প্রায় সকলের মধ্যেই দেখা যায় কমবেশি। একইসঙ্গে আরও নানা শারীরিক সমস্যা তো লেগেই থাকে। তবে এর জন্য হেঁশেলের কিছু উপাদানেই ভরসা রাখা যায়। এমনটাই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কফি: কফির মধ্যে রয়েছে ক্যাফেইন।এটি শরীরের একাধিক উপকারে লাগে। বেশ কিছু গবেষণা অনুযায়ি, রোজ নিয়ম করে কফি পান করলে মস্তিষ্ক ভালো থাকে। এছাড়াও কফি মন মেজাজ ভালো রাখে। একইসঙ্গে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এই পানীয়। তবে কফি খুব বেশি খাওয়া ঠিক নয়। এর ফলে রাতে অনিদ্রার সমস্যা হয়। দুধ-চিনি ছাড়া কফি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
হলুদ: সব বাড়ির হেঁশেলেই হলুদ থাকে। হলুদের মধ্যে কারকিউমিন থাকে। এটি আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কাজে লাগে। সেই সঙ্গে মানসিক অবসাদ রুখতেও কাজে লাগে হলুদ। শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে হলুদের।
ফুলকপি: ফুলকপি, বাঁধাকপির মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন কে রয়েছে। এই ভিটামিনটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। শীতে রোজ অল্প করে হলেও ফুলকপি, ব্রকলি খাওয়া উচিত। এতেস্মৃতিশক্তি জোরদার হয়। তবে থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে বাঁধাকপি এড়িয়ে চলতে বলেন চিকিৎসকরা।
কুমড়োর বীজ: কুমড়োর বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটি মস্তিষ্ককে ক্ষতিকর কোষের কবল থেকে বাঁচায়। সেই সঙ্গে কুমড়োর বীজে থাকে ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, তামা ও আয়রনের মতো বেশ কয়েকটি পুষ্টিকর উপাদান। এই কারণে রোজ কুমড়োর বীজ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
কমলালেবু: শীতের মরশুমে বাজারে ঢেলে বিক্রি হয় কমলালেবু। কমলালেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি থাকে। এই দুটি উপাদান আমাদের স্মৃতিশক্তি ও একাগ্রতা বাড়ায়। একই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ কমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup