কেরলে বাড়ছে জলাতঙ্ক। তারই মাঝে পথ চলতি কুকুরের কামড়ে একের পর এক ব্যক্তির অসুস্থতার ঘটনা বাড়ছে। তা ঘিরে কুকুরদের হত্যার ঘটনাও বাড়ছে। সেই পশু হত্যার প্রতিবাদে দিল্লির যন্তরমন্তরে প্রতিবাদে শামিল হলেন সমাজকর্মীরা। তাঁরা কেরলে কুকুর হত্যার প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন।
সমাজকর্মীদের অভিযোগ, বিষয়টি বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও এসব চলছে। সুপ্রিম কোর্ট রাস্তার কুকুরদের কোনও ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য কার্যত পথ চলতি কুকুরদের পক্ষেই আদেশ জারি করেছে। সমাজকর্মীরা বলছেন, কুকুরদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। আর তা করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অংশে। এছাড়াও তাঁরা বলছেন, শীর্ষ আদালত কিছুতেই চায়নি যে কোনও মতেই পথ চলতি কুকুরদের তাঁদের এলাকা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হোক। তবে শীর্ষ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে গিয়ে সেটাই করা হচ্ছে। শনিবার যন্তর মন্তরে যে সমস্ত সমাজকর্মীরা ছিলেন তাঁদের হাতে বহু প্ল্যাকার্ড দেখা গিয়েছে। 'পশুদের ওপর অত্যাচারের কোনও ক্ষমা নেই', 'মানুষের নিষ্ঠুরতা, লোভ, অবহেলা, অসহিষ্ণুতা এবং বর্বরতার কাছে হারিয়ে যাওয়া সমস্ত জীবনের স্নেহময় স্মৃতিতে' ধরনের লেখা প্ল্যাকার্ডে দেখা গিয়েছে। পশু নিষ্ঠুর ঘটনা নিয়ে একটি তালিকা তুলে ধরে সমাজ কর্মীরা বলেছেন, কেরালায় পোষা প্রাণী সহ এক হাজারেরও বেশি কুকুরকে বিষ দেওয়া হয়েছে। Video: বানের স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে গেল স্কর্পিও গাড়িকে, হাড়হিম করা দৃশ্য
উল্লেখ্য, তাঁরা বলছেন কর্ণাটকের বেল্লারির কথা। কর্ণাটকের বেল্লারিতে, ১০০ টিরও বেশি রাস্তার কুকুর যাদের মুখ ও পা ধাতব তার দিয়ে বেঁধে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। কর্ণাটকের বেলগামে আরও ৬০টি রাস্তার কুকুরকে পিটিয়ে, বেঁধে এবং পৌরসভার সীমার বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। কর্ণাটকের বিজাপুরে পাতিল মেডিকেল কলেজ ২৫ টিরও বেশি কুকুর ও তাদের ছানাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে দেশব্যাপী প্রাণী জন্মনিয়ন্ত্রণ বিধি কার্যকর করার দাবি জানান। যাতে পথ চলতি কুকুরদের স্টেরিলাইজ করা যায়, তার উদ্যোগ নিতে সকলকে আহ্বান জানান তাঁরা। তাঁদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী যেখানে কুকুরদের দত্তক নেওয়ার কথা বলছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে দেশে কুকুরদের অবৈধ কেনা বেচার ব্যবসা গিয়েছে বেড়ে।