বাংলা নিউজ >
টুকিটাকি > Alarm Clock Hazardous to Health: রোজ ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখেন? সেই শব্দেই ঘুম ভাঙে? কোন বিপদ ডেকে আনছেন এতে
Alarm Clock Hazardous to Health: রোজ ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখেন? সেই শব্দেই ঘুম ভাঙে? কোন বিপদ ডেকে আনছেন এতে Updated: 23 Apr 2024, 01:14 PM IST Suman Roy Alarm Clock Hazardous to Health: অনেকেই রোজ অ্যালার্মের শব্দে ঘুম থেকে ওঠেন। এটি শরীরের উপর কেমন প্রভাব ফেলে। জেনে নিন। তার পরে হয়তো সিদ্ধান্ত বদলাবেন। 1/10 অনেকেই নিয়মিত ফোনে বা টেবিল ঘড়িতে অ্যালার্ম সেট করে ঘুমোতে যান। সময়মতো ঘুম থেকে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য এর চেয়ে ভালো কিছু হয় না। কিন্তু জানেন কি এর ফলে শরীরে কী হয়? এটি আগে থেকে জেনে নিয়ে তবে এর পরের বার অ্যালার্ম দেবেন। 2/10 সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণাপত্রে ঘুম ভাঙার পদ্ধতির সঙ্গে স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। গবেষণাপত্র অনুযায়ী, যাঁরা বছরের পর বছর অ্যালার্মের শব্দে ঘুম থেকে ওঠেন, তাঁদের বেশ কয়েকটি সমস্যা দেখা দেয়। জেনে নিন সেগুলি সম্পর্কে। 3/10 হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে: প্রতিদিন অ্যালার্মের শব্দ শুনে ঘুম ভাঙলে হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেকাংশে বেড়ে যায়। কারণ হঠাৎ করে অ্যলার্মের শব্দে ঘুম ভাঙলে অ্যাড্রিন্যালিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এর ফলে বাড়ে রক্তচাপ। এ কারণে হৃদরোগ হওয়ারও ঝুঁকি বাড়ে। 4/10 ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়ে: অ্যালার্মের শব্দে যাঁদের ঘুম ভাঙে, তাঁদের ডায়াবিটিসের সমস্যা বাড়ে, তেমনই বলছে সমীক্ষা। শরীরের যতটা প্রয়োজন তার চেয়ে কম ঘুম হলেই এ সমস্যা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভাঙলে ঘুমের ঘাটতি পূরণ হয় না। এ কারণেই সমস্যা বাড়ে। 5/10 মানসিক শান্তি কমে: প্রতিদিন অ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভাঙলে এক সময় অভ্যাস হয়ে যায়। যা অবসাদের কারণ হতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে অ্যালার্মের শব্দ। এতে দুশ্চিন্তার প্রবণতা বাড়ে বলেও মনে করেন বিজ্ঞানীরা। 6/10 হজম ক্ষমতা কমে: অ্যালার্মের শব্দে হঠাৎ করে ঘুম ভাঙলে হজমজনিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বাড়তে পারে অ্যাসিডিটির সমস্যাও। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা অনেকাংশে বেড়ে যায়। 7/10 মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে: এটি সবচেয়ে মারাত্মক সমস্যা। দেখা গিয়েছে, ঘুমের মধ্যে অ্যালার্মের শব্দ কানে এলে আচমকা ঘুম ভেঙে যায়। দীর্ঘ দিন এমন হতে থাকলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যায়। এতে খুব দ্রুত মস্তিষ্কের বয়স বেড়ে যায়। 8/10 রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়: জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেলথের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা হঠাৎ করে অ্যালার্মের শব্দে ঘুম থেকে জেগে উঠেছেন, তাঁদের রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। 9/10 স্মৃতিশক্তি কমে যেতে পারে: আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, গভীর ঘুমের সময়ে যদি অ্যালাম্র বেজে ওঠে, তাহলে স্মৃতিশক্তি কমে যেতে পারে। দীর্ঘ দিন এরকম চললে এমনকিী গণনার দক্ষতাও কমে যায়। 10/10 এই সব কারণে ফোন বা ঘড়িতে অ্যালার্ম না বাজানোই ভালো। বরং এমন রুটিন তৈরি করুন, যাতে নির্দিষ্ট সময়ে নিজে থেকেই ঘুম ভাঙে। তার পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তিনি বলে দিতে পারবেন, ভালো ঘুমের অভ্যাস কী করে তৈরি করবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদিও অ্যালার্ম আপনাকে সময়মতো জাগিয়ে দেওয়ার জন্য উপকারী। তবে এর দীর্ঘস্থায় প্রভাব মানসিক চাপের কারণ হতে পারে। তাই অ্যালার্ম ছাড়াই দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।