হাসপাতালে ভর্তির পর রাজু শ্রীবাস্তবের অ্যাঞ্জিওপ্ল... more
হাসপাতালে ভর্তির পর রাজু শ্রীবাস্তবের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়। তবে সঞ্জীব গেরা বলছেন, সিপিআরের পর একবার কারোর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে, তাঁর দ্বিতীয়বার সেটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তিনি বলছেন, অ্যাঞ্জিপ্লাস্টির পরও হার্টঅ্যাটাক হলে ৫০ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে, জীবন-মৃত্যুর। ফলে সাবধানতা জরুরি।
1/6তাঁর হাসিমুখকেই মনে রাখবে আপামর জনতা। তাঁর হাস্য কৌতূক অঙ্গভঙ্গিই থেকে যাবে মানুষের মধ্যে। তবে যে প্রশ্ন,আজ দিনভর ঘুরপাক খেয়েছে রাজু শ্রীবাস্তবের গুণমুগ্ধদের কাছে, তা হল কেন বাঁচানো গেল না এই কমেডি কিং-কে? হার্ট অ্যাটাক নিয়ে আমাদের আরও কতটা সতর্ক থাকা উচিত? দেখে নেওয়া যাক। (PTI Photo/Shahbaz Khan) (PTI)
2/6কোথায় গলদ- মৃত্যুকালে রাজু শ্রীবাস্তবের বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। মূলত, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর তিনি বহু দিন ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। বহু চেষ্টাকে বিফল করে বুধবার প্রয়াত হন রাজু শ্রীবাস্তব। তাঁর মৃত্যু নিয়ে ফর্টিস হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞ সঞ্জীব গেরা বলছেন, 'রাজু শ্রীবাস্তবের মৃত্যুতে জিমনেশিয়ামের তৎক্ষণাৎ রেসপন্স করার বিষয়ে সামান্য দেরি হয়েগিয়েছিল।' জিমে কসরৎ করার সময় রাজুর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। চিকিৎসক বলছেন, ওই জিমে মাত্রারিক্ত ব্যায়াম করে ফেলেছিলেন রাজু। এক্ষেত্রে সেপসিস ও মাল্টি অর্গান ডিসফাংশানের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। (PTI)
3/6হার্ট অ্যাটাকের কারণ বলছে হালের সমীক্ষা। (PTI)
4/6দ্বিতীয়বারও হতে পারে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট- হাসপাতালে ভর্তির পর রাজু শ্রীবাস্তবের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়। তবে সঞ্জীব গেরা বলছেন, সিপিআরের পর একবার কারোর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে, তাঁর দ্বিতীয়বার সেটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তিনি বলছেন, অ্যাঞ্জিপ্লাস্টির পরও হার্টঅ্যাটাক হলে ৫০ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে, জীবন-মৃত্যুর। ফলে সাবধানতা জরুরি। (PTI)
5/6গোল্ডেন আওয়ার-হার্ট অ্যাটাক হলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল প্রথম এক ঘণ্টা। ওই গেল্ডেন আওয়ারেই ব্যক্তিকে দ্রুত চিকিৎসার দেওয়া উচিত। রাজু শ্রীবাস্তবের ক্ষেত্রে এমআরআইতে দেখা যায়, তাঁর হার্ট অ্যাটাকের ফলে মস্তিষ্কে আঘাত লাগে। সেক্ষেত্রে মস্তিষ্কে সাময়িক অক্সিজেন সরবরাহের ব্যাহত হওয়া নিয়েও তথ্য উঠে আসে। (PTI)
6/6হার্ট অ্যাটাক রুখতে কী কী করণীয়- উল্লেখ্য, হার্ট সম্পর্কে সচেতনতা সবচেয়ে আগে প্রয়োজন বলে মন্তব্য চিকিৎসকদের। হার্ট অ্যাটাক রুখতে হলে একটা সময় পর পর চিকিৎসককে দিয়ে চেক আপ করানো প্রয়োজন। অতরিক্ত ক্লান্তি অনুভূতি, শ্বাস কষ্ট হলে তা ফেলে রাখ উচিত নয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান থেকে দূরে থাকা, সঠিক ডায়েট মেনে চলা অতিরিক্ত শরীরচর্চা থেকে নিজেকে রোখার মতো কয়েকটি পদক্ষেপ প্রয়োজন। ফাইল ছবি: হিন্দুস্তান টাইমস (PTI)