পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়ে গিয়েছে। ইসলাম ধর্মাবলম্বী অনেকেই এই মাসে রোজা (উপবাস) রেখে থাকেন। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আধ্যাত্মিক চেতনায় বহু ইসলামধর্মাবলম্বী মানুষ এই উপবাস পালন করে থাকেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই উপবাসের ফলে শরীরে টক্সিন বেরিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করে। তবে সুহুর ও ইফতারের মাঝে যদি সঠিকভাবে জল না খাওয়া হয়, তাহলে হতে পারে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা। শুধু তাই নয়, উপবাসের সময় একাধিক নিয়ম পালন করে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসক বর্ষা গোরে বলছেন, উপবাসের সময় সুহুরে যে খাবার খাওয়া হয়,তার শক্তি দিয়ে চলে সারাদিনের খাওয়া দাওয়ার পর্ব চলে। আর ইফতারের খাওয়া দাওয়ায় ভর করে শরীর পুর্নশক্তি পায়। রমজানের একটি উপবাসের দিনে এই দুই সময়ের খাওয়া দাওয়াই খুবই প্রয়োজনীয়। তিনি বলছেন, উপবাসের দিনগুলিতে উপবাস ভাঙার আগে ও পরে একগুচ্ছ এমন খাবার খাওয়া উচিত, যা শরীরে নানানভাবে বল দিয়ে থাকে। সেগুলির তালিকায় রয়েছে, শাক সবজি, শস্য, বাদাম, ফল, দুধ জাতীয় খাবার।
করণীয় কী কী?
- সারাদিন প্রচুর পরিমাণে জল পান করা উচিত।
- সকালের প্রথম আহার থেকে দিনান্তের আহার পরিমাণ মতো করা প্রয়োজন। আহার যেন ভারসাম্য থাকে তা মেনে চলতে হবে।
-উপবাস ভাঙার পর গরম জল পান করতে হবে।
-ডালিয়া বা ওটস খাওয়া জরুরি।
-এছাড়াও উপবাসের আগে বা পরে খেতে হবে অলিভ, খেজুর, আমন্ড, ওয়ালনাট, অ্যাভোকাডো। প্রোটিনে খেতে হবে, দুধ, দই, শস্য জাতীয় খাবার, বাদাম। গুড় খাওয়াও এই সময় ভাল।
উপবাসের সময় কী কী করণীয়?
- যেকোনও ধরনের সিন্থেটিক পানীয় থেকে দূরে থাকুন।
-রমজানের সময় খুব বেশি প্রোটিন জাতীয় খাবারের থেকে দূরে থাকুন।
-ইফতার ভাঙার পরই খুব ঠাণ্ডা বা খুব গরম পানীয় খাবেন না।
-তেলে ভাজা খাবার থেকে দূরে থাকুন।
-উচ্চ স্নেহজাতীয় পদার্থ ও ক্যালোরি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন।ট
-রিফাইন্ড, প্রসেসড ও প্যাকেজ ফুড থেকে দূরে থাকুন।