রণবীর ভট্টাচার্য
ইংরেজি শিক্ষার বিকল্প নেই। মাতৃভাষায় দখল থাকা নিশ্চয় দরকার, কিন্তু বহির্বিশ্বে কাজের ক্ষেত্র বিদেশি ভাষা হিসেবে ইংরেজি অবিসংবাদিত ভাবে গ্রহণযোগ্য। তাই আধুনিক ইংরেজি শিক্ষার তালিম এবং ব্যবহারিক জীবনে দক্ষতা আনার জন্য এবার একসঙ্গে কাজ করার কথা জানাল ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং দক্ষিণ কলকাতার সাউথ সিটি ইন্টান্যাশনাল স্কুল। এই পরিপ্রেক্ষিতে ৪-৬ বছরের ছেলেমেয়েদের মুখোমুখি ক্লাসে ইংরেজি শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে যা থেকে উপকৃত হবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা এবং ছাত্র-ছাত্রীরা। রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন এই ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ তো বটেই, এছাড়া কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে ইংরেজি শিক্ষায় নতুন করে আশার সঞ্চার করে।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর (ভারত) বারবারা উইকহাম এই প্রসঙ্গে জানান, ‘আমরা ভীষণভাবে আপ্লুত যে সামনের দিনে কাজ করতে চলেছি সাউথ সিটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সঙ্গে। আমাদের লক্ষ্য সামনের আরও বেশি ছাত্রছাত্রীর কাছে বিশ্বমানের শিক্ষার সুযোগ পৌঁছে দেওয়া। শুধু তাই নয়, পড়াশোনার সাথে সমাজে একজন দায়িত্ববান নাগরিক হয়ে ওঠার পাঠদানের ক্ষেত্রে আমরা একযোগে কাজ করব স্কুল ম্যানেজমেন্টের সাথে। ক্লাসরুম নির্ভর পুরো কর্মকান্ড ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুব কার্যকর হবে আমরা আশা করি।’
ব্রিটিশ কাউন্সিলের তরফ থেকে ১০ ঘণ্টার একটি Summer Camp (সামার ক্যাম্পের) আয়োজন করা হয়েছে ২৩ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত। প্রায় তিন বছর পর সামার ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে যেখানে যোগদান করলে ক্যাম্পের শেষে ছাত্রছাত্রীদের শংসাপত্র প্রদান করা হবে। এই সামার ক্যাম্পে ছাত্রছাত্রীদের সৃজনশীলতা, যোগাযোগের দক্ষতা, অনুসন্ধিৎসার দিকগুলি উন্নত করার দিকে নজর দেওয়া হবে। এছাড়া Early Years বলে একটি বিশ্বব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে যেখানে ৪-৬ বছরের ছেলেমেয়েরা নিজেদের ভাষা দক্ষতার সঙ্গে একে অন্যকে সাহায্য করার আঙ্গিক শিখবে এবং মনুষ্যত্ব এবং মানবিকতার সূক্ষ্ম দিকগুলি সম্পর্কে জানবে ক্লাসরুমের শিশুকেন্দ্রিক পরিবেশে।
২০১৮ সাল থেকে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে একযোগে কাজ করে চলেছে সাউথ সিটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। সেকেন্ডারি স্কুলের ২৫ জন শিক্ষক শিক্ষিকা (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী) ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষিত হয়েছেন। এছাড়া নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছেলেমেয়েরা ইতিমধ্যেই দলগত আলোচনা, অ্যাকাডেমিক রাইটিং এর মত বিভিন্ন বিষয়ে হাতেকলমে শিখেছে। লকডাউনের সময়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের তরফ থেকে অনলাইনে বিভিন্ন কর্মসূচি করানো হয়েছে যেখানে যোগদান করেছে ভারত জুড়ে প্রচুর ছেলেমেয়ে। তবে কোভিড পরবর্তী এই কর্মকাণ্ড নিঃসন্দেহে নতুন পালক জুড়তে চলেছে সাউথ সিটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ক্ষেত্রে।
এই প্রসঙ্গে সাউথ সিটি ইন্টারন্যাশানাল স্কুলের প্রিন্সিপাল জন অ্যান্ড্রু বাগুই জানান, ‘শিক্ষা কখনও থেমে থাকে না এবং আমরা সব সময়েই আরো বেশি করে শিক্ষার প্রসার ও ছাত্রছাত্রীদের পুরোদস্তুর উন্নতির জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা আশা রাখি ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে এই নতুন কর্মকাণ্ডে অনেকে ছেলেমেয়ে উপকৃত হতে চলেছে সামনের দিনে।’
এই দিনের অনুষ্ঠানে বারবারা উইকহাম এবং জন অ্যান্ড্রু বাগুই ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ডঃ দেবাঞ্জন চক্রবর্তী, ডিরেক্টর ব্রিটিশ কাউন্সিল, পূর্ব এবং উত্তর -পূর্ব ভারত এবং রবি টোডি, ডিরেক্টর, সাউথ সিটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।