অনেক সময়ই সম্পর্কে থাকাকালীন আমাদের এমন একাধিক প্রশ্নের বা কথা প্রসঙ্গের মুখোমুখি হতে হয় যা আমাদের অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। আমরা হয় সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে চাই না, অথবা গোটা প্রসঙ্গটা এড়িয়ে যেতে চাই। কিন্তু অনেক সময় সেটা সঙ্গী বোঝেন না, এবং এক বিষয় নিয়ে বারবার কথা বলতেই থাকেন। তখন নিজেকে ঠাণ্ডা রাখা বা মাথা শান্ত রাখা ভীষণ চাপের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। মনে হয় যেন মুখের উপর উত্তর দিয়ে দিই যে তোমার কী? নিজেরটা দেখে নাও, আমারটা না জানলেও চলবে, ইত্যাদি। কিন্তু আমরা সেটা অনেক সময়ই পারি না। এর মূল কারণ হল এভাবে মুখের উপর উত্তর দেওয়াটা এক প্রকার অসভ্যতা।
কিন্তু মুখের উপর উত্তর না দিয়েও সমস্ত সম্পর্কের ক্ষেত্রে একট নির্দিষ্ট সীমারেখা টেনে দেওয়া বোধহয় সম্ভব। এবং বুদ্ধির সঙ্গে সমস্ত পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। এখন ভাবছেন কীভাবে সেটা সম্ভব? আসুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক যে কীভাবে মুখের উপর উত্তর না দিয়েও তাকে বুঝিয়ে দেবেন যে আপনি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাইছেন না বা এই ধরনের বিষয়ে কথা বলতে স্বচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না। দেখে নিন।
১. যে বিষয় কথা বলতে স্বচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না সেই বিষয়ে কোনও কথা বলবেন না। স্রেফ এড়িয়ে যান। প্রয়োজনে স্পষ্ট করে বলে দিন যে আপনি চাইছেন না এই বিষয়ে কথা বলতে।
২. কাটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। বলুন যে এই প্রশ্নের কোনও উত্তর আপনার কাছে নেই। থাকলে দিতেন।
৩. যে বিষয়ে কথা বলতে চাইছেন না সেটাকে ইমোশনাল গ্রাউন্ডে কাটানোর চেষ্টা করুন। বলুন যে আজকে এই বিষয়ে আপনি কথা বলতে চাইছেন না। আপনার ভালো লাগছে না। পরে কখনও সময় সুযোগ বুঝে এই বিষয়ে কথা বলা যাবে।
৪. খুব ব্যক্তিগত কোনও বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বা কথা উঠলে স্রেফ এড়িয়ে যান। চেষ্টা করুন টপিক বদলানোর। যাতে স্বচ্ছন্দ্য নন, সেই বিষয়ে একটিও কথা নয়।
৫. বুঝে কথা বলুন। সব কথা সবার জন্য নয়। সবাইকে সব কথা বলতে যাবেন না। এমন কিছু কথা থাকে যা কেবল থেরাপিস্টের সঙ্গেই বলা যায়। সেই কথাগুলো কেবল তাঁকেই বলুন।
৬. সোজাসুজি না বলতে শিখুন। আপনার না পছন্দ নয়, আপনার যা ভালো লাগে না সেই বিষয়ে সোজাসুজি না করতে শিখুন।
৭. একটা সীমারেখা টেনে রাখুন। কার সঙ্গে কতটা মিশবেন, কাকে কতটা কথা বলবেন, কাকে কতটা অধিকার দেবেন বা দিয়েছেন সেটা স্পষ্ট করে দিন। এবং সেই সীমারেখা na উল্টোদিকের মানুষটাকে টপকাতে দেবেন না নিজে টপকাবেন।