বুদ্ধি, মেধা, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা— এগুলির অনেকগুলিই যেমন নির্ভর করে জিনের গঠনের উপর, তেমনই এর সঙ্গে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, বেড়ে ওঠার দিনগুলিতে কেমন মানুষের সঙ্গলাভ হয়েছে— এইগুলিরও ভূমিকা থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি করে থাকে খাবারের ভূমিকা।
পুষ্টিকর খাবার যেমন মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা এবং বুদ্ধিমত্তা বাড়ায়, তেমনই কিছু কিছু খাবার এর উল্টো কাজ করে। মানে, সেগুলি কমিয়ে দিতে পারে বুদ্ধি।
কোন কোন অস্বাস্থ্যকর খাবার এই কারণে এড়িয়ে চলবেন? রইল সন্ধান।
চিনি: বেশি মিষ্টি খেলেও বুদ্ধি দ্রুত হ্রাস পেতে পারে। বেশি পরিমানে চিনি খেলে স্মৃতিশক্তিও কমে যায়। এমনকী নতুন জিনিস শেখার আগ্রহও কমে যায় চিনির কারণে।
অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাংস: চিকিৎসকরা বলছেন, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাংস বা রেড মিট খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা দ্রুত কমতে থাকে। এটি বেশি করে প্রযোজ্য মহিলাদের ক্ষেত্রে। রেড মিটের প্রভাব তাঁদের মস্তিষ্কে বেশি মাত্রায় পড়তে পারে।
মাখন: মাখনেও এমন কিছু উপাদান আছে, যেগুলি স্মৃতিশক্তি এবং বুদ্ধির পরিমাণ কমিয়ে দেয়। মস্তিষ্ক সচল রাখতে এটি খাওয়া কমান।
ফাস্ট ফুড: বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুড মানুষের মস্তিষ্কে উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। অবসাদ বা উদ্বেগের মাত্রা বাড়ে এগুলি নিয়মিত খেলে। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার মস্তিষ্ক ডোপামিন নামক হরমোনের ক্ষরণে বাধা দেয়। এই ডোপামিন মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। ডোপামিনের ক্ষরণ কমলে কমে যায় মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও।
বেশি লবনযুক্ত খাবার: অতিরিক্ত লবন আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। বেশি লবন খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কে নানা অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে। হৃদযন্ত্রেরও ক্ষতি হয়। অতিরিক্ত লবন যুক্ত খাবার আমাদের চিন্তাশক্তির ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। সিগারেট খেলে মস্তিষ্কের যেমন ক্ষতি হয়, বেশি নুন যুক্ত খাবার খেলেও তাই।
মদ এবং সিগারেট: মদ ও সিগারেটের নেশা অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের বুদ্ধিকে দুর্বল করে দেয়। এর ফলে স্মৃতিশক্তিও অনেক সময় হ্রাস পেতে পারে।