করনোকালের পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে মাতৃত্বের উপর। অনেকেই এই সময়কালে মা হয়েছেন। লকডাউনের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। অনেকেই বাধ্য হয়েছেন বাড়ি থেকে কাজ করতে। আর সেই সুযোগটিকে কাজে লাগাতেই মা হয়েছেন অনেক মহিলাই।
কিন্তু বিষয়টি এখানেই শেষ হয়নি। অনেকেরই ইচ্ছা থাকে দু’টি সন্তানের। তাঁরা পর পর দু’টি বছরে দু’টি লকডাউনের মধ্যে দু’বার মা হওয়ার কথা ভেবেছেন। এই ভাবনা কত দূর ঠিক? কতটাই বা স্বাস্থ্যসম্মত?
দু’টি সন্তানের মধ্যে কত দিনের পার্থক্য থাকা উচিত?
এ বিষয়ে একটিগাইডলাইন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO। তাদের তরফে বলা হয়েছে দুই সন্তানের মাঝে অন্তত পক্ষে কত দিনের ব্যবধান রাখা উচিত? WHO বলছে, একটি সন্তানের জন্ম দেওয়া আর আরও একবার গর্ভধারণের মাঝে অন্তত ২ বছরের ব্যবধান থাকা উচি। যাঁদের ক্ষেত্রে গর্ভপাত হয়েছে তাঁদেরও অন্তত ৬ মাস অপেক্ষা করে, তার পরে আবার পরের গর্ভধারণের চেষ্টা করা উচিত।
এর চেয়ে কম সময়ের ব্যবধান থাকলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
চিকিৎসকরা বলছেন, এক সন্তানের জন্ম দেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে আবার অন্তঃসত্ত্বা হলে বেশ কয়েকটি সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেগুলি হল:
- গর্ভপাতের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে।
- নির্দিষ্ট সময়ের আগে সন্তানের জন্ম হতে পারে।
- মায়ের রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার সমস্যা হতে পারে।
- দ্বিতীয় সন্তানের মধ্যে অটিজম বা স্কিৎজোফ্রেনিয়ার আশঙ্কাও বাড়তে পারে।
- মায়ের পেটের নানা সমস্য়াও হতে পারে এর ফলে।
বেশি ব্যবধানেও ক্ষতি হতে পারে কি?
দুই সন্তানের মধ্যে পাঁচ বছরের বেশি ব্যবধানও ভালো নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
- সেক্ষেত্রে মায়ের রক্তচাপ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেড়ে যেতে পারে।
- দ্বিতীয় সন্তানকে স্তন্যপান করাতেও সমস্যা হতে পারে। পর্যাপ্ত দুধ তৈরি না হতে পারে মায়ের শরীরে।
- মানসিক সমস্যা, যেমন অবসাদ বাড়তে পারে এর ফলে।