বাংলা নিউজ >
টুকিটাকি > Mustard Oil Banned: আমেরিকায় কেন নিষিদ্ধ সরষের তেল খাওয়া? জানলে রান্নার আগে আপনি দ্বিতীয় বার ভাববেন
Mustard Oil Banned: আমেরিকায় কেন নিষিদ্ধ সরষের তেল খাওয়া? জানলে রান্নার আগে আপনি দ্বিতীয় বার ভাববেন Updated: 22 Apr 2024, 09:48 AM IST Suman Roy Mustard Oil Banned USA, Europe, Canada and UK: আমেরিকা, ইউরোপের বেশ কিছু দেশ এবং কানাডায় নিষিদ্ধ সরষের তেল খাওয়া। কেন জানেন? জানলে আপনিও হয়তো এই তেলে রান্না করা বন্ধ করে দেবেন। 1/8 বহু ধরনের তেলে রান্না করা হয়। এর মধ্যে যেমন রয়েছে সরষের তেল, তেমনই আছে অলিভ অয়েল, তিসির তেল, সয়াবিন তেল, নারকেল তেল, সাদা তেল ইত্যাদি। কিন্তু ভারত-সহ এশিয়ার বহু দেশেই মানুষ রান্নায় সরষের তেলই বেশি মাত্রায় ব্যবহার করেন। এটিকে সবচেয়ে ভালো তেল হিসাবে বিবেচনা করা হয়। 2/8 কিন্তু জানেন কি আমেরিকা বা ইউরোপের মতো দেশগুলিতে সরেষের তেল ব্যবহার নিষিদ্ধ? এই দেশগুলিতে সরষের তেল ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু কেন জানেন? কোন তেল এসব দেশে রান্নায় বেশি ব্যবহার করা হয়? পুরোটা জানলে আপনিও হয়তো সিদ্ধান্ত বদলাতে চাইবেন। 3/8 প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক, সরষের তেলের গুণ। এথে অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। এটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিভাইরাল। শরীর থেকে টক্সিন বার করে দিতে সাহায্য করে এটি। মালিশ করলে ব্যথা এবং ফোলা কমায় এই তেল। সরষের তেলের সঙ্গে কর্পূর দিয়ে গরম করে জয়েন্টে ব্যথায় লাগালে দ্রুত ব্যথা উপশম হয়। স্বাস্থ্যকর চুল ও ত্বকের জন্যও সরষের তেলের মালিশ খুবই উপকারী। 4/8 আর এই সব কারণেই এই তেল ভারতে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু আমেরিকা বা ইউরোপের বহু দেশেই নিষিদ্ধ। এত গুণ থাকা সত্ত্বেও কেন এই তেলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেনে নিন এবার। 5/8 আমেরিকায় খাদ্য দফতর থেকে সরষের তেল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, এই তেলে ইরুসিক অ্যাসিডের পরিমাণ অনেকটাই বেশি, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ইরুসিক একটি ফ্যাটি অ্যাসিড যা ভালোভাবে হজম হয় না। 6/8 এই অ্যাসিড শরীরে কী ঘটায়? আমেরিকা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বলা হয়, সরষের তেলের ইরুসিক অ্যাসিড মস্তিষ্কের কোষের জন্য ভালো নয়। স্মৃতিশক্তি কমায় এবং শরীরে চর্বি জমায়। এটি আরও নানা জটিলতা ডেকে আনে বলে মনে করা হয়। 7/8 আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তাই নিষিদ্ধ সরষের তেল। এসব জায়গায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রান্নার কাজে সয়াবিন তেল ব্যবহার করা হয়। সয়াবিন তেলে ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা কোলাজেন বাড়াতে সাহায্য করে। এতে শরীরের নানা উপকার হয়। 8/8 এছাড়া ইউরোপের বহু দেশেই অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল ব্যবহার করা হয়। এটিও শরীরের নানা কাজে লাগে। ত্বকেরও খুব উপকার করে। মুখের বলিরেখা কমে যায়। এটি মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক। অলিভ অয়েল এবং সয়াবিন তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই রয়েছে, যা স্বাস্থ্যকর ত্বক এবং চুলের জন্য অপরিহার্য।