শীতের দিনে সারাদিন সোয়েটারের মধ্যেই নিজেকে আবদ্ধ রাখতে হয়। অনেক সময় উলের মান ভালো না হলে তা থেকেও কুটকুট করা বা চুলকানি হয়। তাই সোয়েটার পরার আগে ফুলহাতা সুতির জামা পরে তারপর সোয়েটার পরলে পাবেন চুলকানি-মুক্তি।
1/8 এই উক্তিতো শোনাই যায় যে, ‘বিকৃত করিয়া মুখ, চুলকাইতে বড় সুখ’! তবে শীতের দিনের চুলকানি বড় মারাত্মক! তাত সুখভাব অনেকটাই কম। সোয়েটার, জোব্বা পরে তারওপর দিয়ে ঠিকঠাক টার্গেটে চুকলানিও মুশকিল! এদিকে, কনকনে ঠান্ডায় স্নান করে যদি আপনি মনে করেন, চুলকানি পিছু হঠবে, তা কিন্তু সব সময় হয়না। জেনে নিন শীতের দিনে আপনাকে চুলকানি থেকে দূরে রাখতে পারে ঘরোয়া কোন কোন জিনিসগুলি।
2/8 নারকেল তেল কীভাবে মাখবেন- বাজারে হাজার একটা নামী ব্র্যান্ডের বডি অয়েল যেমন ত্বকের পক্ষে বেশ উপকারি, তেমনই নারকেল তেলকে ছাড়লেও কিন্তু চলবে না (অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে বুঝে ব্যবহার করুন)। নারকেল তেলে থাকা প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য চুলকানি দূর করতে এটি সক্ষম। তবে এটি লাগানোর টেকনিক আছে। অল্প গরমজলে গা ধুয়ে লাগিয়ে নিন নারকেল তেল। দেখবেন চুলকানি ছুটি নিয়েছে! ছবি: পিক্সাবে
3/8 ওটমিল কীভাবে ব্যবহার করবেন- ওটমিলকে স্ক্রাবার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। তবে এটি সামান্য জলে মিশিয়ে যদি সেই জলে বসতে পারেন, তাহলে শীতের চুলকানি গায়েব হবে। এতে গায়ের ময়লাও দূর হয়।
4/8 অ্যাপেল সিডার ভিনিগার কীভাবে ব্যবহার করবেন- স্নানের জলে ২ থেকে ৩ কাপ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার যোগ করুন। এই জলে বসুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। তা না হলে, গামছা বা তোয়ালে দিয়ে ওই জলে সারা গায়ে মুছে নিন বা ম্যাসাজ করে নিন। চুলকানি হবে দূর।
5/8 জল খেতে হবে- শীতের কনকনে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে আমরা অনেক সময়ই হিটার ঘরে জ্বালিয়ে রাখি। শীতের দিনে তেষ্টাও পায় কম। এই পরিস্থিতিতে জল কম খাওয়া হয়। বিশেষত ঘরে হিটার চললে জল বেশি খাওয়া প্রয়োজন। শীতের দিনেও ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল অন্তত পান করা প্রয়োজন। জলের অভাবজনিত রুক্ষতাতেও চুলকানির সমস্যা থেকে যায়।
6/8 স্নান কিন্তু খুব গরম জলে নয়- বলা হচ্ছে, খুব গরম জলে নয়, বরং শীতের দিনে হালকা গরম জলে স্নান করুন। চুলকানির সমস্যা থাকলে সুগন্ধিযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না।
7/8 ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা: ভিজে ত্বকে অবশ্যই ময়শ্চারাইজার লাগাতে হবে। এছাড়াও শীতের দিনে বেশি ভাজাভুজি খাওয়া হয়ে গেলে, তেলেভাজাকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। এতে শীতের চুলকানি থেকে পাবেন আরাম।
8/8 সোয়েটার- শীতের দিনে সারাদিন সোয়েটারের মধ্যেই নিজেকে আবদ্ধ রাখতে হয়। অনেক সময় উলের মান ভালো না হলে তা থেকেও কুটকুট করা বা চুলকানি হয়। তাই সোয়েটার পরার আগে ফুলহাতা সুতির জামা পরে তারপর সোয়েটার পরলে পাবেন চুলকানি-মুক্তি।