বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ভারতে সক্রিয় ১৪২টি মাদক পাচার চক্র, তথ্য প্রকাশ এনসিবি-র

ভারতে সক্রিয় ১৪২টি মাদক পাচার চক্র, তথ্য প্রকাশ এনসিবি-র

দেড় কোটি টাকার বেশি হেরোইন ব্যবসা ইতিমধ্যে ফেঁদে ফেলেছে মাদক চক্র, দাবি এনসিবি রিপোর্টে।

প্রায় ১৪২টি মাদক চক্র নাকি সারা দেশে জাল বিস্তার করেছে। এই মাদক চক্র নাকি দেড় কোটি টাকার বেশি হেরোইন ব্যবসা ইতিমধ্যে ফেঁদে ফেলেছে।

প্রায় ১৪২টি মাদকচক্র নাকি সারা দেশে জাল বিস্তার করেছে। এই মাদক চক্র নাকি দেড় কোটি টাকার বেশি হেরোইন ব্যবসা ইতিমধ্যে ফেঁদে ফেলেছে। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর রিপোর্টে। এই তথ্য এমন সময় সামনে নিয়ে আসা হল, যখন চর্চিত হয়ে উঠেছে কন্নড় এবং হিন্দি সিনেমা জগতে মাদক ব্যবহারের রমরমা কাহিনী।

এই তথ্য সামনে আসার পর চোখ কপালে ওঠার জোগাড় সরকারি আধিকারিকদের। এক সমীক্ষা রিপোর্ট থেকে আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, এই মাদক চক্রের জাল বিদেশের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে রয়েছে। পশ্চিম ইউরোপ, কানাডা, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা এবং পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এই জাল ছড়িয়ে আছে।

এখানেই শেষ নয়, এনসিবি’‌র নজরে এসেছে, ভারতের বিভিন্ন শহরে পাইকারি হেরোইনের রমরমা ব্যবসা চলে। প্রায় ৩৬০ মেট্রিকটন হেরোইনের ব্যবসা হয় প্রতি বছর। প্রত্যেকদিন ১ হাজার কেজি করে হেরোইন সারা দেশে বিক্রি হয়। তবে দামি মানের হেরোইন ভারতের বিভিন্ন শহরে পাচার হয় বলে খবর। আর মাদকাসক্তের সংখ্যাও কম নয়। প্রায় ২০ লাখ মানুষ এই নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে।

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এনসিবি’‌র তথ্য অনযায়ী, পাঞ্জাবে সবচেয়ে বেশি মাদক পাচার হয়। এই রাজ্যকে মাদাক পাচারের এপিসেন্টার বলা হচ্ছে। ২০১৯ সালে পাঞ্জাব থেকে ১৫,৪৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে। সারা দেশ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ৭৪,৬২০ জনকে গ্রেফতার হয় গত বছর।

মোট ৩৬টি রাজ্য থেকে এত সংখ্যাক মাদক পাচার কারবারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২০ সালেও পাঞ্জাব থেকে গ্রেফতার হয়েছে ৫২৯৯ জন, যেখানে অন্যান্য রাজ্য মিলিয়ে এই মাদক পাচারের অপরাধে গ্রেফতার হয়েছে ১৮৬০০ জন। ইতিমধ্যে এই চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যানের কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে জানানো হয়েছে। তিনি এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। 

এই বিরাট মাদক পাচার সিন্ডিকেটের তদন্ত করছেন এনসিবি প্রধান রাকেশ আস্থানা। জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানের তালিবান এবং পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে এই মাদক কারবারের যোগ রয়েছে। ভারত–পাকিস্তান সীমান্ত দিয়ে গোপনে তা পৌঁছে যাচ্ছে বিভিন্ন শহরে।

কেরল–লাক্ষাদ্বীপ–তামিলনাড়ু দিয়েও এই মাদক পাচারের কারবার চলে বলে খবর। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, মুম্বই, গোয়া, চেন্নাই এবং দিল্লিতে সরবরাহ হয়ে যায়। 

এনসিবি’‌র ডেপুটি ডিরেক্টর কেপিএস মালহোত্রা বলেন, ‘‌এই মাদক পাচারের সদস্যরা সরাসরি যোগাযোগ করে মাদক কারবারের মাথা যারা কাতার জেলে রয়েছে। এখানে চাকরি খুঁজতে আসা যুবকদের এই কাজে লাগানো হয়। বিনিময়ে বিনামূল্যে এয়ার টিকিট, হোটেলে থাকা বা মধুচন্দ্রিমার প্যাকেজ দেওয়া হয়। মাদক পাচার হয় শুকনো খাবার, জামাকাপড় এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে দিয়ে।’‌

বন্ধ করুন