সাংসদরা নেমেছিলেন রাজ্যসভার ওয়েলে। সোচ্চার কণ্ঠে দাবি তোলা হচ্ছিল চলতি বাদল অধিবেশেন জিএসটি বৃদ্ধি, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আলোচনার। সেই সময় অধিবেশন চলাকালীন বিশৃঙ্খলার দায়ে তৃণমূলের ৭ সাংসদ-সহ মোট ১৯ জন বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। সাসপেনশন রয়েছে চলতি অধিবেশেন এই সপ্তাহের বাকি দিনগুলির জন্য।
যে সমস্ত তৃণমূল সাংসদরা আজ সাসপেন্ড হলেন তাঁরা-- মৌসম বেনজির নূর, শান্তনু সেন, আবীররঞ্জন বিশ্বাস, এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন, দোলা সেন, সুস্মিতা দেব, নাদিমূল হক এবং শান্তা ছেত্রী। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ান। তিনি বলেন, ‘মোদী , শাহরা গণতন্ত্রকে সাসপেন্ড করেছেন, সাংসদদের নিয়ে আর কী বলবেন?’ তৃণমূলের তরফে ক্ষোভে ফুঁসে উঠে আসে টুইটবাণ। সেখানে লেখা হয় ‘ আমাদের সাসপেন্ড করতে পারেন, কিন্তু চুপ করাতে পারবেন না। সাংসদদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে তাঁরা মানুষের সমস্যা তুলে ধরেছেন বলে। এভাবে আর কতদিন চলবে?’
মঙ্গলবার সকাল থেকেই তপ্ত দিল্লির রাজনীতি। গুজরাতে বিষমদকাণ্ড থেকে শুরু করে একাধিক ইস্যুতে লোকসভা ও রাজ্যসভা দুই কক্ষেই সোচ্চার হয়ে ওঠেন বিরোধীরা। যার জেরে বেলা ২টো পর্যন্ত মুলতুবি করতে হয় লোকসভা ও রাজ্যসভা। এর আগে গত বছরের বাদল অধিবেশনেও তৃণমূলের মৌসম নূর ও দোলা সেন-সহ ৬ সাংসদের বিরুদ্ধে সভার কাজ বানচাল করার অভিযোগ আসে। সেবার সাসপেনশনের মেয়াদ ছিল ১ দিন, তবে এবার দিন সংখ্যা তুলনায় বেশি।