চিনে সোমবার হান্টাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গিয়েছেন।শানদোং রাজ্যে ফেরার পথে বাসেই মৃত্যুর কোলে লুটিয়ে পড়েন তিনি। বাসে করে আরও যে ৩২জন যাচ্ছিলেন, তাদেরও হান্টাভাইরাসের জন্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হান্টাভাইরাস নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। অনেকের প্রশ্ন, এটা কী নতুন কোনও রোগ। একেই করোনায় সবাই গৃহবন্দি, সেখানে হান্টার কথা শুনে সবাই চিন্তিত হয়ে পড়েন। এবার জেনে নেওয়া যাক হান্টাভাইরাস সম্বন্ধে কিছু তথ্য-
হান্টাভাইরাস আসলে কী?
হান্টাভাইরাস এমন প্রজাতির ভাইরাস যেটা রডেন্ট, অর্থাত্ ইঁদুর সহ তীক্ষ্ণ দাঁত বিশিষ্ট জন্তুদের থেকে ছড়ায়।
কীভাবে ছড়ায় হান্টাভাইরাস?
প্রত্যেক হান্টাভাইরাস সেরোটাইপ একটি বিশেষ রডেন্ট হোস্ট ছড়ায়। সেটি মানুষের মধ্যে রডেন্টের মল, মূত্র ও থুতুর মাধ্যেমে ছড়াতে পারে। অল্প কিছু ক্ষেত্রে রডেন্টের কামড়েও ছড়ায় হান্টাভাইরাস। এটি মানুষের থেকে মানুষে ছড়ায়নি।
এর উপসর্গ কী?
প্রাথমিক উপসর্গ হল ক্লান্তি, জ্বর, গাঁটে ব্যাথা। এছাড়াও হতে পারে মাথা ব্যাথা, পেট খারাপ, বমি ইত্যাদি। চার থেকে দশ দিন বাদে কাশি ও নিশ্বাসে কষ্ট হতে শুরু করে।
এটা কি নতুন কোনও ভাইরাস ?
নতুন নয়, আমেরিকায় ১৯৯৩ সালে এই রোগ দেখা যায়। অ্যারোজোনা, উটাহ, নিউ মেক্সিকো, কলোরাডোতে এই রোগের কথা জানা গেছিল।
কতটা প্রাণঘাতী হান্টাভাইরাস ?
মৃত্যু হয় ৩৮ শতাংশ হান্টাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের।