প্রায় সব নায্য মূল্যের দোকানেই EPoS মেশিন পৌঁছে গিয়েছে। বুধবার লোকসভায় এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন মন্ত্রক। এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রক জানায়, দেশে বর্তমানে মোট ৫.৩৪ লক্ষ নায্য মূল্যে দোকান(FPS) আছে। তার ৯৯.৮%-এরও বেশিতে ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অফ সেল ডিভাইস বসে গিয়েছে। এই মেশিনগুলিতে বায়োমেট্রিক স্ক্যানার রয়েছে। ফলে রেশন সঠিক সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছোচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে পারবে সরকার। আরও পড়ুন: মার্চেই গঙ্গার নীচে ট্রায়াল রান, কবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পুরো অংশে পরিষেবা শুরু?
এটি এক দেশ এক রেশন কার্ডের পরিকল্পনা কার্যকর করার মূল উপায়, জানিয়েছে উক্ত মন্ত্রক। তাদের দাবি, এই মেশিনের বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশনের ফলে সম্পূর্ণ ব্যবস্থাটি আরও সহজ হয়ে গিয়েছে। সুবিধাভোগীদের বাড়ির কাছে নির্দিষ্ট রেশন দোকান থেকেই জিনিস নিতে হবে, এমন কোনও মানে নেই। দেশের যে কোনও রেশন দোকানে গিয়েই পছন্দের খাদ্যশস্য নেওয়া যাবে। এমনটাই জানালেন সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি, গ্রামোন্নয়ন ও ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী।
কার প্রশ্নের উত্তরে?
বিজেপি সাংসদ পুনম মহাজন এবং রাজেশ চুদাসামার প্রশ্নের উত্তরে, এই তথ্যাদি দেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, ২০১৪ সালের নভেম্বরে দেশের প্রতিটি এফপিএস-এ ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অফ সেল (ইপিওএস) ডিভাইস ইনস্টল করা নির্দেশিকা জারি হয়। এতদিনের প্রচেষ্টায় তা বাস্তবায়িত হয়েছে।
না-পসন্দ অনেকের
সাতারক নাগরিক সংগঠন, দিল্লি রোজি রোটি অধিকার অভিযান (DRRAA)-এর মতো কর্মী সংগঠনগুলি রেশনের দোকানে পিওএস ডিভাইস বসানোর বিরোধী। তাদের দাবি, এই নিয়মে জিনিস আরও বেশি নষ্ট হবে। বায়োমেট্রিক সিস্টেম কাজ না করলে তখন সুবিধাভোগী আর রেশন তুলতে পারবেন না। খেটে খাওয়া মানুষ এবং বয়স্করা এতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবেন।
এর প্রতিক্রিয়া হিসাবে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'এই ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে রেশন তোলার প্রক্রিয়া খুবই সহজ। এর জন্য কারও ডিজিটাল জ্ঞান না থাকলেও চলবে।' আরও পড়ুন: গাফিলতির কারণে মৃত্যু বা দুর্ঘটনা ঘটলে শাস্তি হবে কর্মীদের, নির্দেশ রেল বোর্ডের
কেন্দ্র পর্যায়ক্রমে রেশন ডিলারদের এবং রাজ্য/জেলা স্তরের আধিকারিকদের ইপিওএস ডিভাইসের ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। পুরো বিষয়টায় আরও স্বচ্ছতা আনতে রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ইপিওএস-এর মাধ্যমে লেনদেনের রসিদের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। রেশন তোলার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় ভাষায় সুবিধাভোগীর রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে এসএমএস এসে যাবে। ফলে রেশন নিয়ে 'দু-নম্বরী' কারবারের দিন কার্যত শেষ বলা যেতে পারে।