২০২০ সালে জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন এক সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। কিন্তু তারপর থেকে তিনি প্রায় তিন বছর ওই জেলেই বন্দি ছিলেন। ২৭ বছর বয়সি ওই বন্দির নাম চন্দনজী ঠাকোর। আসলে জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল হাইকোর্টের রেজিস্ট্রি থেকে যে ইমেল পাঠানো হয়েছিল সেটা ঠিক খুলছিল না। তার জেরেই তিনি মুক্তি পাননি। খবর বার অ্যান্ড বেঞ্চ সূত্রে।
তবে এবার এনিয়ে কড়া নির্দেশ দিল গুজরাট হাইকোর্ট। বিচারপতি এএস সুপেহিয়া ও বিচারপতি এমআর মেঙ্গডে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে ওই বন্দিকে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
কোর্ট তার নির্দেশ জানিয়েছে, এই মামলায় কোর্টের রেজিস্ট্রি অফিস থেকে নির্দিষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছিল যে আদালত ওই বন্দিকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে। জেল কর্তৃপক্ষ সেই মেল পায়নি এমনটাও নয়। তারা ইমেল পেয়েছিল। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ কোভিড পরিস্থিতিতে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। তারা মেলের সঙ্গে থাকা অ্যাটাচমেন্টটা খুলতে পারেনি। এদিকে আদালতের পর্যবেক্ষণ ডিস্ট্রিক্ট সেশন কোর্টেও এই ইমেল পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তারাও এনিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। আদালত জানিয়েছে, এই মামলা আমাদের চোখ খুলিয়ে দিল।
ওই বন্দির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে উল্লেখ করেছে আদালত। প্রায় তিন বছর ধরে জেলে বন্দি রয়েছেন ওই ব্যক্তি। আদালত জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
বার অ্যান্ড বেঞ্চ সূত্রে খবর, একটি খুনের মামলায় ওই ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন। এদিকে তার জামিনের ব্যাপারে ইমেল করে জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির জেরে সেই মেল চোখে পড়েনি জেল কর্তৃপক্ষের । আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল সেটাও তারা লাগু করেনি।
আর জেল কর্তৃপক্ষে দাবি সেই সময় করোনা অতিমারি চলছিল। তাছাড়া মেলের সঙ্গে যে অ্যাটাচমেন্ট ছিল সেটা খোলা যাচ্ছিল না।
আদালত জানিয়েছে, জেলা লিগাল সার্ভিস অথরিটিও দেখেনি যে এই নির্দেশ আদালত দিয়েছে।
আদালত জানিয়েছে, এই পরিস্থিতির জন্য জেল কর্তৃপক্ষ দায়ী। এটা তাদের গাফিলতি। ১৪দিনের মধ্য়ে রাজ্যকে ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেই সঙ্গেই জামিন পাওয়ার পরেও কারা এভাবে জেলে বন্দি রয়েছেন সেটা দেখার জন্য় ডিএলএসএকে বলা হয়েছে।