তালিবানের ‘জয়’ সত্ত্বেও এখন হাল ছাড়তে নারাজ আফগানিস্তানের উপ-রাষ্ট্রপতি আমরুল্লা সালেহ। যিনি রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানি পালানোর পর 'সংবিধান মোতাবেক' নিজেকে আফগানিস্তানের অভিভাবক হিসেবে দাবি করলেন।
মঙ্গলবার টুইটারে সালেহ লেখেন, ‘স্পষ্ট করে দিতে চাই যে আফগানিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি পালিয়ে গেলে, অনুপস্থিতিতে, ইস্তফা বা মৃত্যুতে প্রথম উপ-রাষ্ট্রপতি কেয়ারটেকার রাষ্ট্রপতি হন। আমি এখন নিজের দেশের মধ্যেই আছি এবং আমি বৈধ কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট। সাহায্য এবং ঐক্যমতের জন্য আমি সব নেতাদের কাছে যাচ্ছি।’
গত রবিবার কাবুলের 'পতনের' তালিবানের হাতে আফগানিস্তানের ক্ষমতা চলে গেলেও তা মেনে নেননি সালেহ। সাফ জানিয়েছিলেন, ইসলামপন্থী মৌলবাদীদের সঙ্গে কখনও 'এক ছাদের' তলায় থাকবেন না। রবিবার তিনি জানিয়েছিলেন, কখনও 'আমার নায়ক আহমেদ শাহ মাসুদের পথ' এবং 'আত্মার' সঙ্গে কখনও বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না। প্রাক্তন মিলিটারি কমান্ডার ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৯ সালের মধ্যে সোভিয়েত দখলদারির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। মঙ্গলবারই তালিবান-বিরোধী গোষ্ঠীদেরও একত্রিত হওয়ার আর্জি জানান প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান সালেহ। সঙ্গে জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর মতো হাল ছেড়ে দেননি। তিনি বলেছিলেন, 'আফগানিস্তান নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের (জো বাইডেনের) সঙ্গে তর্ক করা একেবারেই বৃথা। তাঁকে এটা হজম করতে দেওয়া হোক। আমাদের অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে আফগানিস্তান মোটেও ভিয়েতনাম নয় এবং তালিবান বহু দূর থেকে ভিয়েতকং নয়। আমেরিকা বা ন্যাটোর মতো আমরা বিশ্বাস হারাইনি।'
সোমবার আফগান পরিস্থিতি নিয়ে দায় এড়িয়ে আশরাফ ঘানির সরকারের উপরে যাবতীয় দোষ চাপিয়ে দেন বাইডেন। দাবি করেন, আফগানিস্তানে দেশ গঠনের কোনও লক্ষ্যই ছিল না আমেরিকার। আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে যাতে আমেরিকায় জঙ্গি হামলা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই নাকি ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে ছিল মার্কিন সেনা। আর ওয়াশিংটনের লক্ষ্য সফল হয়েছে। তবে এবার সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। বাইডেনের বক্তব্য, নিজেদের জন্য লড়াই করছে না আফগান বাহিনী। আমেরিকার আর একজন সেনাও আগানিস্তানে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দেবেন না। পাশাপশি দোহা চুক্তি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও খোঁচা দেন বাইডেন।