হরিয়ানা এবং ঝাড়খণ্ডের পরে, বুধবার গুজরাটের আনন্দ জেলার বোরসাদ শহরে একটি কন্টেইনার ট্রাক পিষে দিল একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে। দ্রুতগামী গাড়িটিকে থামানোর চেষ্টা করেছিলেন সেই পুলিশ কর্মকর্তা। ট্রাকের চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়। আনন্দের পুলিশ জানিয়েছে, ট্রাক চালক গোপিরাম সেদুরাম মীনা রাজস্থানের আলওয়ার জেলার রামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার ভোররাত ১টা ১০ মিনিট নাগাদ ট্রাকটিকে আটকানোর চেষ্টা করেন কিরণ রাজ নামক পুলিশ কর্তা। আনন্দ চৌকিতে পোস্টিং ছিলেন কিরণ। সেই সময় সেই ট্রাকটি তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায়। এতে মৃত্যু হয় কিরণের। জানা গিয়েছে, রাজস্থানের রেজিস্ট্রেশন প্লেটের একটি কন্টেনার ট্রাক ভাসাদ চৌকি থেকে আনন্দ চৌকির দিকে যাচ্ছিল যখন পুলিশ চালককে থামতে সংকেত দেন পুলিশ কর্মী। একজন সহকর্মীর সঙ্গে কিরণ গাড়িটিকে ধাওয়া করে এবং শীঘ্রই এটিকে পার করে যায়। এরপর তাঁরা সার্ভিস রোডের কাছে তাঁদের গাড়ি দাঁড় করান এবং ট্রাকটিকে চেক করার জন্য দাঁড়াতে সংকেত দেন। তবে ট্রাক চালক থামেননি এবং পুলিশের গাড়ির উপর দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। এতে ৪০ বছর বয়সি কিরণ রাজ গুরুতর আহত হন। বুধবার করমসাদের শ্রীকৃষ্ণ হাসপাতালে পরে তিনি মারা যান। অপর কর্মকর্তা সামান্য আহত হয়েছেন।
আনন্দ পুলিশ জানিয়েছে, ট্রাকটি ভারুচ থেকে হরিয়ানায় শিল্প পণ্য নিয়ে যাচ্ছিল। গত কয়েক দিনে এরকম আরও দুটি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে সন্ধ্যা টপনো নামে এক সাব-ইন্সপেক্টরকে বুধবার ভোরবেলায় একটি পিকআপ ভ্যান চাপা দেয়। এর আগে হরিয়ানার ডিএসপি সুরেন্দ্র সিং বিষ্ণোই মঙ্গলবার নুহের পাচগাঁওয়ের কাছে একটি অবৈধ খনি মাফিয়াকে ধরতে গেলে গাড়িচাপা পড়ে নিহত হন।