বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > মোদীর আহ্বানে আলোচনার দিন ঠিক করতে বললেন কৃষকরা, MSP-কে আইনি কবচ দেওয়ার আর্জি

মোদীর আহ্বানে আলোচনার দিন ঠিক করতে বললেন কৃষকরা, MSP-কে আইনি কবচ দেওয়ার আর্জি

গাজিপুর সীমান্তে চলছে কৃষকদের আন্দোলন। (ছবি সৌজন্য পিটিআই)

এক কৃষক নেতা বলেন, 'ভরসার ভিত্তিতে দেশ চলে না। সংবিধান এবং আইনের ভিত্তিতে দেশ চলে।'

আলোচনার টেবিলে বসার জন্য সকালে কৃষকদের আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপরই পরবর্তী পর্যায়ের আলোচনার জন্য কেন্দ্রকে দিনক্ষণ ঠিক করতে বলল বিক্ষোভরত কৃষক সংগঠনগুলি।

নয়া তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ইতিমধ্যে কেন্দ্রের সঙ্গে ১১ বার বৈঠকে বসেছে কৃষক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা। কিন্তু কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। সাময়িকভাবে কেন্দ্র তিনটি কৃষি স্থগিত করার প্রস্তাব দিলেও তাতে রাজি নন কৃষকরা। তা সত্ত্বেও মোদীর ডাকে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন তাঁরা। সংযুক্ত কিষান মোর্চার বর্ষীয়ান সদস্য তথা কৃষক নেতা শিবকুমার কাক্কা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, 'সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করিনি। যখনই সরকার আমাদের আলোচনার জন্য ডেকেছে, তখনই আমরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।' আন্দোলনের অপর এক নেতা অভিমন্যু কোহার জানান, নীতিগতভাবে কৃষকরা আলোচনায় তৈরি। আলোচনার মাধ্যমেই যে কোনও সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়। কিন্তু সেজন্য সরকারিভাবে কৃষকদের ডাকতে হবে।

তবে সোমবার রাজ্যসভায় নয়া শ্রেণির 'আন্দোলনজীবীদের' নিয়ে যে কটাক্ষ করেছেন মোদী, তা ভালোভাবে নেননি বিক্ষোভরত কৃষকরা। অভিমন্যু জানান, গণতন্ত্রে কৃষক আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সরকারের 'ভুল নীতির' বিরুদ্ধে আমজনতার প্রতিবাদেরও যাবতীয় অধিকার রয়েছে। একইসঙ্গে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) থাকবে বলে সংসদের উচ্চকক্ষে যে মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন মোদী, তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। বরং কৃষক নেতাদের বক্তব্য, সরকার যদি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য রেখে দেওয়ার দাবি করে, তাহলে সেটির আইনি সুরক্ষাকবচ দেওয়া হচ্ছে না কেন? ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (বিকেইউ) মুখপাত্র রাকেশ তিকাইত বলেন, 'আজ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে এমএসপি আছে, ছিল এবং থাকবে। কিন্তু তিনি বলেননি যে এমএসপি নিয়ে কোনও আইন তৈরি করা হবে। ভরসার ভিত্তিতে দেশ চলে না। সংবিধান এবং আইনের ভিত্তিতে দেশ চলে।'

রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণের উপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাবের সময় মোদী আশ্বাস দেন, মান্ডিগুলির আধুনিকীকরণ করা হবে। আগের মতোই চালু থাকবে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য। তিনি বলেন, 'যাঁরা বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন, আন্দোলন করা অবশ্যই তাঁদের অধিকার। কিন্তু যেভাবে বয়স্করা ওখানে বসে আছেন, সেটা মোটেও ঠিক নয়।' সঙ্গে যোগ করেন, 'তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ওদের আন্দোলন বন্ধ করতে হবে। আলোচনার সব পথ খোলা থাকায় একসঙ্গে আমরা সমাধানসূত্র বের করব। এই কক্ষ থেকে আমি আবারও ওদের আলোচনার জন্য ডাকছি।'

বন্ধ করুন