আগামী ২৫ অগস্ট অগ্নিপথের সব মামলার শুনানি হবে দিল্লি হাই কোর্টে। আজকে এই ঘোষণা করা হয়। এদিকে দিল্লি হাই কোর্ট এদিন জানায়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ অনুযায়ী অন্য কোনও হাই কোর্ট থেকে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা স্থানান্তর করা হয়নি। এর আগে গতকালই অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া সব আবেদন স্থানান্তর করা হয়। দিল্লি হাই কোর্টকে দ্রুত এই সব মামলার শুনানি সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, পটনা, কেরলের মতো যেসব হাই কোর্টে অগ্নিপথ সংক্রান্ত মামলা রয়েছে, আবেদনকারীরা চাইলে তা দিল্লিতে স্থানান্তর করতে পারেন। তবে কোনও আবেদনকারী দিল্লি হাই কোর্টে তাদের মামলা স্থানান্তরের আবেদন জানানি বলে আজ জানিয়ে দিল দিল্লি হাই কোর্ট।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টে দুই মামলাকারী মামলার আবেদন জমা দিয়ে দাবি জানায়, অগ্নিপথ প্রকল্প যাতে পুনর্বিবেচনা করা হয়। প্রকল্পের বিরুদ্ধে ওই দুই মামলা দায়ের করেন আইনজীবী এমএল শর্মা ও বিশাল তিওয়ারি। আবেদনে মামলাকারী হিংসাত্মক বিক্ষোভেরও উল্লেখ করেন। এর প্রেক্ষিতে ক্যাভিয়েটও দাখিল করে কেন্দ্র।
এদিকে মামকারীর দাবি ছিল, প্রকল্প খতিয়ে দেখার জন্য সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হোক। পাশাপাশি হিংসাত্মক বিক্ষোভের জেরে যে সব সরকারি সম্পত্তির কত ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করার আর্জি জানানো হয়েছে। এর আগে তিন বাহিনীর প্রধান যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন। সেই সময় বলা হয়েছিল, যে 'অগ্নিবীর'-দের নিয়োগ করা হবে, তাঁদের মধ্যে সর্বাধিক ২৫ শতাংশ প্রার্থী বাহিনীতে থাকবেন। বাকিদের সেবা নিধি প্যাকেজ হাতে ধরিয়ে সেনা থেকে বিদায় জানানো হবে। এরপরই সেনার উপর আক্রোশ দেখায় পড়ুয়ারা।