বিশ্বের ফুসফুস হিসেবে পরিচিত আমাজন জঙ্গল সংক্রমিত। গত ৪০ বছর ধরে ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়েছে আমাজন জঙ্গলের। আর এর জেরে এখনও আমাজনের বহু জায়গায় যত না কার্বনডাইঅক্সাইড জঙ্গল শুষে নিচ্ছে তার থেকে বেশি কার্বনডাইঅক্সাইড নির্গত করছে জঙ্গল। আর এতে গভীর চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিশেষজ্ঞদের কপালে।
জানা গিয়েছে গত ৯ বছরে আমাজন জঙ্গলের উপর দিয়ে প্রায় ৬০০টি ফ্লাইট উড়িয়েছে ব্রাজিলের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্চ। আমাজনের উপর সমীক্ষা এবং গবেষণা চালাতেই সেই ফ্লাইটগুলি ওড়ানো হয়েছিল। সেই সংস্থার গবেষণা থেকেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। দক্ষিণ অ্যামেরিকার বৃষ্টিচ্ছায়া অরণ্য আমাজ়ন পৃথিবীর ২০ শতাংশ অক্সিজেন সরবরাহ করে। তাই আমাজনকে পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয়। সেই ফুসফুসই যেন তিলে তিলে ঝাঁঝরা হয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা আমাজনের চারটি এমন জায়গা পেয়েছে যেগুলি দাবানলের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত। এবং এই চারটি জায়গা সম্মিলিত ভাবে ৪১০ মিলিয়ন কার্বনডাইঅক্সাইড নির্গত হয়। এই দাবানল অনেক ক্ষেত্রে মানুষের লাগানো আগুন থেকেই ছড়িয়ে পড়ে। এই চারটি অঞ্চল সম্মিলিত ভাবে মাত্র ১২০ মিলিয়ন মেট্রিক টন কার্বন শুষে নেয় হাওয়া থেকে।
আমাজনের প্রায় ৬০ শতাংশ ব্রাজিলে অবস্থিত। বিস্তীর্ণ এই জঙ্গল বলিভিয়া, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, গায়ানা, ফ্রেঞ্চ গায়ানা, পেরু, সুরিনাম, ভেনিজ়ুয়েলাতেও রয়েছে। কৃষিকাজ ও খনিজশিল্পের জন্য আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ব্রাজিলের অংশের আমাজনের বিসতৃত অঞ্চলে। গত বেশ কয়েক বছর ধরে এই প্রথা চলে আসছে। যার জেরে ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা হারাচ্ছে বিশ্বের ফুসফুস। করোনা আবহের আগে শুধউমাত্র ২০১৯ সালে ৭২ হাজারের বেশি বার আগুন লেগেছিল আমাজনে। এই সব কারণের জেরেই বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভয়ংকর প্রভাব পড়ছে।