গুজরাট দাঙ্গায় অনেক অভিযোগ উঠেছিল প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে। তবে আদালতের নির্দেশে নরেন্দ্র মোদী সহ ৫৮ জনকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করে ফের তদন্তের আবেদন জানিয়েছিলেন দাঙ্গায় নিহত কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া। সেই আবেদন অবশ্য খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আর এরপরই পালটা আক্রমণ শানানোর পথ বেছে নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর বক্তব্য, গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে মিথ্যা প্রচার চলেছিল। তাঁর দাবি, মোদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানো ব্যক্তিদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
বারবার গুজরাটের তৎকালীন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে নিষ্ক্রিয়তার। অভিযোগ ওঠে, মোদী নাকি দাঙ্গা থামানোর থেকে পুলিশকে বিরত রেখেছিলেন। এই অভিযোগ প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, ‘বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী, রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত সাংবাদিক এবং কিছু এনজিও গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে মিথ্যা প্রচার করে। তাদের একটি শক্তিশালী ইকোসিস্টেম ছিল। তাই সবাই সেই মিথ্যাকে সত্য বলে বিশ্বাস করতে শুরু করে।’ শাহ আরও বলেন, ‘আমি তাড়াহুড়ো করে রায়টি পড়েছি (২৪শে জুন)। কিন্তু তাতে স্পষ্টভাবে তিস্তা সেটালভাদের নাম উল্লেখ রয়েছে। তাঁর একটি এনজিও ছিল। সেটি সমস্ত থানায় বিজেপি কর্মীদের নাম জড়িয়ে আবেদন জমা দিয়েছিল৷ মিডিয়ার দ্বারা এত চাপ ছিল যে সব আবেদনগুলি সত্য বলে মেনে নেওয়া হয়েছিল৷’
শাহ বলেন, ‘আজ সুপ্রিম কোর্ট বলছে, জাকিয়া জাফরি অন্য কারোর নির্দেশে কাজ করেছেন। এনজিও অনেক ভুক্তভোগীর হলফনামায় স্বাক্ষর করেছে এবং তাঁদের অনেকেই জানতেনও না যে কিসে স্বাক্ষর করছেন তাঁরা। সবাই জানে তিস্তা সেটালভাদের এনজিও এই কাজটি করছিল। সেই সময়ে ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় এলে সেই এনজিওকে সাহায্য করেছিল।’ অমিত শাহ দাবি করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে যাঁরা মিথ্যা প্রচার চালিয়েছিল, তাঁদের উচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে ক্ষমা চাওয়া।
শাহ মোদীর প্রশংসা করে বলেন, ‘গণতন্ত্রে সংবিধানকে কীভাবে সম্মান করা উচিত, সমস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে তার একটি আদর্শ উদাহরণ উপস্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। মোদীজিকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল, কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করেনি, সারা দেশের কর্মীরা মোদীজির সাথে সংহতি প্রকাশ করেনি। আমরা আইনের সাথে সহযোগিতা করেছি। আমাকেও গ্রেফতার করা হয়। আমরা প্রতিবাদ করিনি। এত দীর্ঘ লড়াইয়ের পর যখন সত্য বেরিয়ে আসে, তখন তা সোনার চেয়েও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। আমার ভালো লাগছে। আজকে যাঁরা মোদীজির বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করেছে... তাঁদের যদি অন্তরের বিবেক থাকে তাহলে তাদের মোদীজি এবং বিজেপির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’