দু'দিন আগেই জানানো হয়েছিল, কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন। কিন্তু তারপর আর ছুটি দেওয়া হয়নি। অবশেষে আজ (সোমবার) সকালে দিল্লির এইমস থেকে ছাড়া পেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
গত শনিবার হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছিল, ‘করোনা পরবর্তী শুশ্রুষার জন্য দিল্লির এইমসে ভরতি আছেন মাননীয় (কেন্দ্রীয়) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।’ প্রায় ৪০ ঘণ্টা পার করে ১৫ দিনের মাথায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে টুইটারে দেশবাসীকে ওনামের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন শাহ।
তার আগে, গত ২ অগস্ট একটি টুইটবার্তায় শাহ জানিয়েছিলেন, ‘করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর আমি করোনা টেস্ট করিয়েছিলাম। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমার শরীর ঠিক আছে। তা সত্ত্বেও চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালে ভরতি হচ্ছি। গত কয়েকদিনে যাঁরা আমার সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁরা দয়া করে নিজেদের আইসোলেশনে রেখে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিন।’
মাঝে একদিন শাহরে করোনা মুক্তির খবর দিয়েছিলেন দিল্লি বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি মনোজ তিওয়ারি। পরে সেই টুইট ডিলিট করে দিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফেও জানানো হয়েছিল, শাহের আরও করোনা পরীক্ষাই হয়নি। পরে স্বাধীনতা দিবসের আগেরদিন গুরুগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছাড়া হয়েছিল। তবে চিকিৎসকরা তাঁকে বাড়িতেই নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
করোনা মুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এক সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ১৭ অগস্ট রাতে শাহকে দিল্লির এইমসে ভরতি করা হয়েছিল। পরদিন সকালে হাসপাতালের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, গত তিন-চারদিন ধরে ক্লান্তি বোধ করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গায়ে ব্যথাও হচ্ছে। তবে তিনি করোনায় আক্রান্ত হননি। করোনা পরবর্তী চিকিৎসার জন্য এইমসে ভরতি করা হয়েছে। শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল রয়েছে। শাহ হাসপাতাল থেকেই কাজ করবেন বলেও জানানো হয়েছিল। এইমসের অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়ার নেতৃত্বাধীন চিকিৎসকের দল শাহের শারীরিক অবস্থার উপর পর্যবেক্ষণ রেখেছিলেন।