শিশির গুপ্তা
অমরাবতীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে জঙ্গি কার্যকলাপ হিসেবে উল্লেখ করল এনআইএ। শনিবার গভীর রাতে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) দায়ের করা এফআইআরে দাবি করা হয়েছে, 'ভারতের মানুষের একাংশকে' ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে উমেশ কোলহেকে হত্যা করা হয়েছে।
গত ২১ জুন মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে ফার্মাসিস্ট উমেশকে (৫৬) নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। সেদিন ওষুধের দোকান থেকে বাড়ি ফেরার সময় উমেশের রাস্তা আটকানো হয়। যে ঘটনার সঙ্গে উদয়পুরকাণ্ডের (উদয়পুরকাণ্ডের আগে অমরাবতীতে খুন) মিল আছে। বিজেপির দাবি, পয়গম্বর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নূপুর শর্মার সমর্থনে পোস্ট করেছিলেন উমেশ। সেজন্যই তাঁকে খুন করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে অমরাবতী পুলিশের তরফে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অমরাবতীতে ব্যক্তির শিরোচ্ছেদের সঙ্গে কি উদয়পুরকাণ্ডের যোগ রয়েছে? ময়দানে NIA
এনআইয়ের এফআইআরে অবশ্য স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, উমেশের থেকে কিছু চুরি করা হয়নি। উমেশের ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) ১৬, ১৮ ও ২০ নম্বর ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪, ১৫৩ (এ), ১৫৩ (বি), ১২০ (বি) এবং ৩০২ ধারায় এফআইআর রুজু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাতে অভিযুক্ত হিসেবে মুদাসির খান, শাহরুখ পাঠান, আবদুল তৌফিক, শোয়েব খান, আতিব রশিদ, ইউসুফ খান, ইরফান খান-সহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত ইউসুফ-সহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে।
এনআইএয়ের এফআইআর অনুযায়ী, অমরাবতীতে নৃশংসা হত্যাকাণ্ড অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং অন্যদের একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ। যারা ভারতের একাংশ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করার চেষ্টা করেছিল। ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের বিভেদ তৈরির চেষ্টা করেছিল অভিযুক্তরা। সেজন্যই ২১ জুন রাত ১০ টা থেকে ১০ টা ৩০ মিনিটের মধ্যে ‘জঙ্গি কার্যকলাপ’ করা হয়।