1/4 পাকিস্তানের মাটিতে মৃত্যু আরও এক কুখ্যাত জঙ্গির। মৃত শেখ জমিল উর রহমানের মৃত্যু ঘিরে বেশ কিছুটা রহস্য দানা বাঁধছে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের নভেম্বরে জঙ্গি খোয়াজা শাহিদের মৃত্যু, একই মাসে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় আকরম গাজির মৃত্যু, এরপর ২০২৩ এর ডিসেম্বরে পাকিস্তানের করাচিতে লস্কর কমান্ডার আবু হানজালা ও সদ্য় লস্করের আজাম চিমার মৃত্যুর পর রহমানের মৃত্যুর ঘটনা কম চাঞ্চল্যকর নয়। পর পর সার দিয়ে একধিক জঙ্গি পাকিস্তানের বুকে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মারা গিয়েছে। এই তালিকায় সদ্য উঠে আসা নাম জমিল উর রহমান।
2/4 পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার অ্যাবোতাবাদে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে শেখ দমিল উর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। বলে খবর। দিল্লির দেওয়া ‘জঙ্গি' তকমায় থাকা এই সন্ত্রাসবাদী মূলত কাশ্মীরের ভূমিপুত্র বলে জানা যাচ্ছে। কাশ্মীরের পুলওয়ামার তেহরিক উল মুজাহিদ্দিনের সদস্য এই জঙ্গি। ২০২২ সালে এই রহমানকে 'জঙ্গি' তকমা দিয়েছে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। (প্রতীকী ছবি)
3/4 জানা গিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরে একের পর এক জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত রয়েছে এই সন্ত্রাসবাদী। এছাড়াও পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে রহমান। আর তারই মৃত্যু ঘিরে রয়েছে কিছু ধোঁয়াশা। রহমান কোনও শারীরিক অসুস্থতায় মারা গিয়েছে, নাকি, সে কোনওভাবে খুন হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তার তৈরি করা তেহরিক উল মুজাহিদ্দিনের উদ্দেশ্য ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে পাকিস্তানকে একাত্ম করা। (প্রতীকী ছবি)
4/4 উল্লেখ্য এই তেহরিক উল মুজাহিদ্দিনের বড় নেতা ইউনিস খানকে ১৯৯১ সালে এনকাউন্টারে নিকেশ করা হয়। রহমানের নজর ছিল কাশ্মীরি পড়ুয়াদের ওপর। কাশ্মীর থেকে উঠে আসা জঙ্গিদের পোক্ত প্রশিক্ষণ দিতে চেয়েছিল কুখ্যাত জঙ্গি, যাতে কোনও মতেই সেনার হাতে নিহত না হতে হয়। এদিকে, ফেব্রুয়ারি মাসে সদ্য ২৬/১১ এর মাস্টারমাইন্ড জঙ্গি আজিম চিমার মৃত্যুও বেশ কিছু রহস্য তৈরি করছে। সে পাকিস্তানের ফয়জলাবাদে ৭০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে, বলে খবর। আর মোস্ট ওয়ান্টেড চিনার মৃত্যুর পর এবার এর রহমানের মৃত্যুর খবর।