দেশে এখনও জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য অনুমোদন পেয়েছে তিনটি টিকা। সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের পর তালিকায় নাম লিখিয়েছে রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি। তবে সাম্প্রতিক কালে করোনার বাড়বাড়ন্তের মাঝেই চাহিদা বেড়েছে টিকার। অভাব দেখা দিয়েছে ভ্যাকসিনের। এই আবহে বড় ঘোষণা করা হল কেন্দ্রের তরফে। এদিন নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভিকে পাল জানিয়ে দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা মার্কিন সংস্থা এফডিএ-র অনুমোদন প্রাপ্ত যেকোনও টিকা ভারতে আমদানি করা যাবে। যার অর্থ, ভআরতে এবার থেকে জনসন অ্যান্ড জনসন, ফাইজার, মডার্নার টিকা আমদানি করা যাবে। এবং এর জন্য আমদানির লাইসেন্সও আগামী ১-২ দিনের মধ্যে দেওয়া হবে বলে জানান ডঃ ভিকে পাল।
এদিকে ডঃ ভিকে পাল এদিন আরও জানান যে রাশিয়া থেকে ভআরতে এসে পৌঁছেছে স্পুটনিক ভি-এর প্রথম ব্যাচ। আগামী সপ্তাহ থেকেই বাজারে মিলবে রাশিয়ার এই টিকা। এদিকে জুলাই মাস থেকেই ভারতে ডঃ রেড্ডির ফ্যাক্টরিতে উৎপাদিত হবে রাশিয়ার এই ভ্যাকসিন। ভারতে ১৫.৬ কোটি ডোজ উৎপাদন করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন রাজ্যে যখন কোভিড টিকার অভাব চরমে উঠেছে। এই আবহে বিদেশ থেকে টিকা আমদানি সংক্রান্ত এই বড় ঘোষণার ফলে টিকার অভাব মিটতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন নিয়ে কয়েকদিন আগেই আশার আলো দেখায় সেরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেক৷ তারা আগামী চার মাসের টিকা উত্পাদন পরিকল্পনার কথা কেন্দ্রকে জানিয়েছে৷ সেই রিপোর্টেই জানানো হয়েছে, তারা অগস্টের মধ্যে যথাক্রমে ১০ কোটি ও ৭.৮ কোটি ডোজ তৈরি করবে৷
সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার দফত দুই কোম্পানির কাছে তাদের জুন, জুলাই, অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের উত্পাদন পরিকল্পনার কথা জানতে চেয়েছিল৷ তখনই ভারত বায়োটেক জানিয়েছে যে, জুলাইতে কোভ্যাক্সিনের উত্পাদন বাড়িয়ে ৩.৩২ কোটি করা হবে এবং অগাস্টে তা বেড়ে হবে ৭.৮২ কোটি৷ পাশাপাশি সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফেও জানানো হয়েছে, তারা অগস্টের মধ্যে উত্পাদন বাড়িয়ে ১০ কোটিতে নিয়ে যাবে৷ সেপ্টেম্বরেও এই ধারা বজায় রাখা হবে বলে আধিকারিকদের সূত্রে জানানো হয়েছে৷