দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে অসমে সম্প্রতি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একটি মাদ্রাসা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই অভিযানের পক্ষে মুখ খুললেন এবার। মাদ্রাসা উচ্ছেদের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি দ্বিতীয় মাদ্রাসা যা আমরা উচ্ছেদ করেছি। কারণ এগুলি প্রতিষ্ঠান নয় বরং সন্ত্রাসের আস্তানা হিসেবে চলছিল। আমি সব মাদ্রাসাকে চিহ্নিত করতে চাই না, তবে মৌলবাদের অভিযোগ এলে আমরা তদন্ত করি এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করি।’
এদিকে বারপেটা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লচিত কুমার দাস জানান যে মাদ্রাসাটিতে 'দেশবিরোধী কার্যকলাপ’ চলত এবং ‘জিহাদি সংগঠন' জড়িত ছিল এই মাদ্রাসার সঙ্গে। লচিত দাস বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যাই, এবং মাদ্রাসাটি খতিয়ে দেখে তদন্ত করি। এটি সরকারি জমিতে ছিল এবং এর মালিককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই আমরা অবিলম্বে এটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
এর আগে ২১ অগস্ট অসমের গোয়ালপাড়া জেলার পুলিশ দুই ইমামকে গ্রেফতার করে। বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে ধৃতদের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে গত চার মাসে জঙ্গি যোগ অভিযোগে অন্তত ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয় অসমে। এরপরই ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমাম এবং মাদ্রাসা ও মসজিদের শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন ও অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেয় অসম সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, একটি পোর্টাল খোলা হবে। সেই পোর্টালের মাধ্যমে ভিনরায্য থেকে আসা ইমাম ও বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষকদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তবে কবে থেকে এই পোর্টাল চালু হবে তা নিয়ে তিনি কিছু জানাননি।