বিশ্বকল্যাণ পুরকায়স্থ
প্রতিবাদটা চলছিলই। শেষ পর্যন্ত অসমের কাছার জেলায় সাফ করার কাজ শুরু করে দিল অসম সরকার। মূলত গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্ট তৈরির জন্য এই কাজ শুরু হয়েছে।পুলিশের উপস্থিতিতে শ খানেক বুলডোজার উপড়ে ফেলছে সবুজ চা বাগান। এদিকে অশান্তির আশঙ্কায় এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্রের খবর অন্তত তিন মিলিয়ন চা গাছ উপড়ে ফেলা হবে।
এদিকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ঘোষণা করেছিলেন চা বাগানের একাংশে বিমানবন্দর তৈরি হবে। প্রায় ২৫০০ বিঘা চা বাগানের জমি লাগবে এয়ারপোর্ট তৈরিতে। বিমানবন্দর তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এদিকে বাগান মালিক অবশ্য চা বাগানের জমি দিতে রাজি আছেন। তবে এভাবে বাগানের জমিতে বিমানবন্দর তৈরির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন চা শ্রমিকরা।
চা বাগানের প্রায় দু হাজার শ্রমিক প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। তাঁরা একসময়ে জানিয়েছিলেন, চা বাগান ধ্বংস করার আগে তাদেরকে মেরে ফেলা হোক। এদিকে এনিয়ে প্রশাসনের কাছে বার বার তাঁদের আপত্তির কথাও তাঁরা জানিয়েছেন। তবে চা বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুয়িটির টাকা মিটিয়ে দেওয়ার উদ্যোগও নিয়েছে।
পিএফের ১.৫৭ কোটি টাকা ও গ্র্যাচুয়িটির ৮০ লাখ টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে শ্রমিকদের দাবি, আমাদের টাকাই তো ফিরিয়ে দিচ্ছে। তার বিনিময়ে আমরা চা বাগান ধ্বংস হতে দেব না।এদিকে এলাকায় ফ্ল্যাগ মার্চ চলছে পুলিশের। তার মধ্যেই বিক্ষোভ চলছে শ্রমিকদের। এমনকী পুলিশ সরিয়েও দেয় বিক্ষোভকারীদের। উপায় না দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন শ্রমিকরা।