বিহার বিধানসভার উপনির্বাচন ঘিরে গোপালগঞ্জ ও মোকামা ছিল সেরাজ্যের রাজনীতির বিশেষ নজরে। উল্লেখ্য, বিহারে সদ্য পালাবদল হয়েছে শাসকদলের ঘরানার। সেখানে নীতীশ কুমারের জেডিইউ বিজেপির হাত ছেড়ে পের আরজেডির সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে মহাজোট গড়েছে। এরপর এই উপনির্বাচন , বিজেপি, জেডিইউ, আরজেডির জন্য লিটমাস টেস্ট হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
শক্তি যাচাই করে নেওয়ার এই উপনির্বচনে উঠে আসে দুই মহিলা প্রার্থীর নাম। আর রবিবার নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতেই, মোকামা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন আরজেডির নীলম দেবী। আর গোপালগঞ্জ কেন্দ্র থেকে জয়ী হন বিজেপির কুসুম দেবী। দুই কেন্দ্রেই কার্যত টানটান উত্তেজনা ছিল।
উল্লেখ্য, মোকামা কেন্দ্রে বিধায়ক ছিলেন অনন্ত সিং। সদ্য অস্ত্র আইনের আওতায় তাঁকে বিধায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, চলে যায় তাঁর পদে থারা যোগ্যতা। সেই অনন্ত সিংয়ের স্ত্রী নীলম দেবী। তিনি বলছেন, ‘আমি জিততামই। আমি আগেও বলেছি এখানে আর কেউ নেই। এই নির্বাচন ছিল শুধু ফরমালিটি।’ প্রসঙ্গত, মোকামা চিরকালই অনন্ত সিংয়ের গড় ছিল। ২০০৫ সাল থেকে এই এলাকা তাঁর পোক্ত পিচ। তিনি ২ বার জেডিইউয়ের টিকিটে জয়লাভ করেন। পরে ২০২০ সাল থেকে আরজেডির টিকিটে তিনি জয়ী হন। তাঁর বিধায়ক পদের যোগ্যতা অস্ত্র আইন মামলার জেরে চলে যায়। এরপর সেখানে বিধায়ক পদের জন্য বিধানসভা উপনির্বাচনে লড়েন তাঁর স্ত্রী নীলম দেবী। যিনি ১৬ হাজার ভোটে বিজেপির সোনম দেবীকে হারিয়ে দেন।
অন্যদিকে, বিহারের গোপালগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন ঘিরেও ছিল একাধিক ফ্যাক্টর। সেখানে বিজেপির প্রার্থী কুসুম দেবী জিতে নেন এই আসন। তিনি আরজেডির মোহন প্রসাদ গুপ্তকে ২১৮৩ ভোটে হারিয়েছেন। উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে, মায়াবতীর বিএসপি, আসাদউদ্দিন ওয়েইসির এআইএমআইএম। ফলে আরজেডির পক্ষের ভোট কার্যত বিভক্ত হয়ে যায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই জায়গা থেকে বিজেপি পেয়ে যায় লাভ। যার হাত ধরেই কুসিম দেবীর এই জয়।
়্