মুম্বই উপকূলের অদূরে ক্রুজে মাদক অভিযানে এক বিজেপি নেতা ও এক প্রাইভেট গোয়েন্দার জড়িত থাকার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈকিক তরজা। মঙ্গলবার, এনসিপির মুখপাত্র নবাব মালিক সাংবাদিকদের বলেন, মনু ভানুশালী নামক একজন অভিযুক্ত আরবাজ মারচেন্টকে এনসিবি কার্যালয়ে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল। তিনি একজন বিজেপি কর্মী। এরপর মালিক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ভানুশালীর ছবিও দেখান।
এই আবহে এবার নিজের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেন সেই বিজেপি কর্মী ভানুশালী। এই প্রসঙ্গে ভানুশালী এক সর্বভারতীয় সংবাদ চ্যানেলকে বলেন, 'আমি গত ১০-১৫ বছর ধরে একজন বিজেপি কর্মী। দলের ১১ কোটি কর্মীর মধ্যে আমিও একজন। আমি বিজেপি কর্মী বলেই আমাকে টার্গেট করা হচ্ছে। নবাব মালিকের জামাই মাদক মামলায় ধরা পড়েছিলেন। সেজন্য তিনি আমাকে টার্গেট করছেন। আমি শুধু এদেশের তরুণদের মাদক থেকে বাঁচাতে চাই।'
এর পাশাপাশি ভানুশালী দাবি করেন যে সেই ক্রুজ পার্টিতে আরিয়ান খান থাকবেন তা তিনি গুণাক্ষরেও জানতেন না। এরপর তিনি দাবি করেন যে মহারাষ্ট্রে তাঁর প্রাণ সংশয় রয়েছে। তিনি বলেন, 'আমি নিরাপত্তা চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করব। আরিয়ানের গ্রেফতারির সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। মহারাষ্ট্রে আমার জীবন হুমকির মুখে। আমি আমার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য দিল্লিতে এসেছি।'
এর আগে গতকাল নবাব মালিক দাবি করেছিলেন যে শাহরুখ খানের ছেলের গ্রেফতারির নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। নবাব মালিকের অভিযোগ ছিল বিজেপি এবং এনসিবির যোগসাজশের জেরেই আটক হয়েছেন আরিয়ান খান।