কৃষক আন্দোলন প্রায় তিন মাসের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলেও এখনও কৃষি আইন বাতিলে নারাজ নরেন্দ্র মোদীর সরকার। আর নয়া তিন কৃষি আইন বাতিল না হলে আন্দোলন ছেড়ে যাচ্ছেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিবাদী কৃষকরা। সোমবারই ৮৭ দিনে পা দিল কৃষক আন্দোলন। যদিও একটানা তিন মাস ধরে চলা আন্দোলনের জেরে এখনও পর্যন্ত ২৪৮ জন প্রতিবাদী কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে কৃষি আইনকে সামনে রেখে একটি রাজনৈতিক খসড়া তৈরি করেছে বিজেপি। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, কৃষকদের আয় কতটা বেড়েছে এবং তাঁদের জীবনযাপন কতটা উন্নত হয়েছে। বিরোধিদের দাবিকে নস্যাৎ করতেই এই খসড়া তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
দলের কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের বৈঠকে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলা সফরে আসার আগে এই খসড়া দেখে নিয়েছেন তিনি। যাতে এখানেও সেই খসড়া থেকে কিছু কথা তুলে ধরতে পারেন। কারণ কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকাইত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এবার কৃষক আন্দোলন বাংলায় নিয়ে আসবেন। ইতিমধ্যেই এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই কৃষক আন্দোলনকে যাতে হাতিয়ার করে ক্ষমতা দখল করতে না পারে তৃণমূল কংগ্রেস সে জন্যই খসড়ার কিছু অংশ তুলে ধরা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই খসড়াতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারত–চিন সীমান্তে টেনশনের কথা। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কতটা সাফল্য এসেছে তাও তুলে ধরা হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনিও। সামনেই বাংলা, অসম, তামিলনাড়ু, কেরল এবং পুদুচেরির নির্বাচন। বৈঠকে মূলত এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনী রণকৌশল নির্ধারণের আলোচনা হয়েছিল। এখানে তিনি বলেন, ‘দলের লক্ষ্য এবং সংগঠন শুধুমাত্র ক্ষমতা দখলের জন্য নয়। মূল লক্ষ্য হল, সবার উন্নয়ন।’ করোনা পরিস্থিতিতে সরকার কেমন কাজ করেছে তাও তুলে ধরা হয়েছে। যা আত্মনির্ভর ভারতের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।
বিরোধীরা দেশজুড়ে লকডাউনের সমালোচনা করলেও এই খসড়ায় তুলে ধরা হয়েছে, গরীব কল্যান প্যাকেজের। যেখানে ১.৭০ লক্ষ কোটি টাকা ঢালা হয়েছে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের জন্য ভ্যাকসিন তৈরি করে মানুষের সেবায় দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হযেছে। এছাড়া আরও অনেক বিষয় তুলে ধরে তৈরি করা হয়েছে খসড়া দলিল।