বালিয়া হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্তকে সমর্থন করার জন্য বিধায়ক সুরেন্দ্র সিংকে শো কজ করল বিজেপি। সোমবার দলের এক নেতা এই কথা স্বীকার করেছেন।
জানা গিয়েছে,বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা বিষয়টি নিয়ে উত্তর প্রদেশে দলীয় প্রধান স্বতন্ত্র দেব সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে বিধায়কের আচরণ দলের ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে মনে করে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এর পরেই।
এই বিষয়ে বহু চেষ্টা করেও সুরেন্দ্র সিংয়ের প্রতিক্রিয়া জানতে পারেনি হিন্দুস্তান টাইমস। তবে সোমবার সকালে তিনি জানিয়েছিলেন, আপাতত দুই দিন তিনি লখনউতেই থাকবেন এবং বালিয়াকে এড়িয়ে চলবেন।
দুর্জনপুর গ্রামে দুটি রেশন দোকান বণ্টন নিয়ে বচসার জেরে স্থানীয় বাসিন্দা জয়প্রকাশ পালকে গুলি করে খুন করে সুরেন্দ্র-ঘনিষ্ঠ ধীরেন্দ্র প্রতাপ সিং। ঘটনায় তাকে গ্রেফতারের পরে আপাতত ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। এ দিকে ধীরেন্দ্রর সমর্থনে সংবাদ মাধ্যমে আলটপকা মন্তব্য করে বসেন সুরেন্দ্র সিং। তার জেরে গত রবিবার তাঁকেলখনউ ডেকে পাঠায় বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্ব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক নেতা জানিয়েছেন, বালিয়াকাণ্ড থেকে বিধায়ককে দূরে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং প্রকাশ্যে বে-ফাঁস মন্তব্য করতেও নিষেধ করা হয়েছে।
কোণঠাসা সুরেন্দ্র পরে হিন্দুস্তান টাইমস-কে জানান, ‘আমি আসলে নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যে দুই পক্ষের যুক্তিই শোনা হোক। নেতৃত্বকে বলেছি, আমি চাই দোষীরা শাস্তি পাক।’
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে অভিযুক্ত ধীরেন্দ্র প্রতাপকে স্রেফ বিজেপি সদস্য বলেই ক্ষান্ত হননি বিধায়ক, সেই সঙ্গে অভিযুক্তর পরিবারের পালটা নালিশ নিয়ে থানায় গিয়ে হম্বিতম্বিও করেন তিনি।
রবিবার গ্রেফতার হওয়ার পরে ধীরেন্দ্র প্রতাপ সিং দাবি করে, জনৈক কৃষ্ণ কান্ত যাদবের নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতী তার ও তার সঙ্গীদের নিশানা করে গুলি চালিয়েছিল বলেই আত্মরক্ষার্থে সে গুলি চালায়। কিন্তু সোমবার আজমগড়ের ডিআইজি সুভাষ চন্দ্র দুবে জানান, ধীরেন্দ্র মিথ্যা বয়ান দিয়েছে। এমন কোনও আক্রমণের শিকার সে হয়নি। তার বিরুদ্ধে গুন্ডা দমন আইন ও জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশকর্তা।